Advertisement
E-Paper

চমক নয়, রেলে নজর সুরক্ষাতেই

আভাস ছিল আগেই। নতুন ট্রেন বা কোনও চমকের পথে না হেঁটে জেটলি সুরক্ষা খাতে অর্থ বাড়াবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন রেলকর্তারা। কিন্তু সুরক্ষা খাতে ৭৩,০৬৫ কোটি টাকা খরচের কথা ঘোষণা করে সকলকে চমকে দেন জেটলি।

অনমিত্র সেনগুপ্ত 

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

চাইলে বিরাট কোহালি হতে পারতেন। শেষ পর্যন্ত চেতেশ্বর পূজারার মতো ধরে খেলার রাস্তাই নিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। অহেতুক দেখনদারিতে না গিয়ে রেলের সুরক্ষা খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ করলেন তিনি। বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে মূলধনী খাতেও। তবে সেই বিনিয়োগ টানার দায়িত্ব রেলের হাতেই দিয়েছেন জেটলি।

আভাস ছিল আগেই। নতুন ট্রেন বা কোনও চমকের পথে না হেঁটে জেটলি সুরক্ষা খাতে অর্থ বাড়াবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন রেলকর্তারা। কিন্তু সুরক্ষা খাতে ৭৩,০৬৫ কোটি টাকা খরচের কথা ঘোষণা করে সকলকে চমকে দেন জেটলি। এর মধ্যে কুড়ি হাজার কোটি টাকা মিলবে ‘রাষ্ট্রীয় রেল সংরক্ষা কোষ’ থেকে। বাকি টাকা নিজেরাই জোগাড় করবে রেল।

সুরক্ষা ও পরিকাঠামো উন্নয়ন— এই দু’টি খাতেই মূলত বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে। নতুন লাইন, নতুন কামরা, সিগন্যালিং ব্যবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি দু’টি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ রুখতে ‘ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিং সিস্টেম’ বসানোর কথা জানিয়েছেন জেটলি। কুয়াশার কারণে দেরি রুখতে কয়েকশো ট্রেনে ‘ফগ সেভটি ডিভাইজ’ বসানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আগামী এক বছরে যথাক্রমে ১০০০ কিলোমিটার করে নতুন লাইন ও গেজ পরিবর্তন করা হবে। ডাবলিং হবে ২১০০ কিলোমিটার লাইনে।

বাজেট নথিতে মূলধনী খাতে ১,৪৮,৫২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে যথাক্রমে অভ্যন্তরীণ খাতে ১১ হাজার কোটি টাকা ও কেন্দ্রীয় সাহায্যের পরিমাণ ৫৩ হাজার কোটি হওয়ায় (গতবার ছিল ৫৫ হাজার কোটি) বাকি অর্থ জোগাড়ে বাজারের উপর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে রেলকে। ঠিক হয়েছে, বাজারে বন্ড ছেড়ে, এলআইসি-র মতো সংস্থার থেকে ধার করে বা পিপিপি মডেলে বাকি টাকা তুলবে রেল। একই সঙ্গে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে এবং খরচ কমিয়ে চলতি অপারেটিং রেশিও ৯৬ থেকে একেবারে ৯২.৮-এ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও নিয়েছে রেল। লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া নিয়ে আশাবাদী রেল বোর্ডের ফিনান্স কমিশনার এ কে প্রসাদ।

দিনে ২৫ হাজারের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন, এমন ৬০০টি স্টেশনে এসক্যালেটর ও লিফ্‌ট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এবং ট্রেনে ওয়াই-ফাই এবং সিসিটিভি লাগানো হবে। আজ রেল সংক্রান্ত বক্তব্যে দু’টি রাজ্যের কথা উল্লেখ করেছেন জেটলি। কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র। কর্নাটকে ক্ষমতা ফিরে পেতে বেঙ্গালুরুর শহরতলির ট্রেন পরিষেবায় ১৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্য দিকে শিবসেনার চাপে লাটুরে রেল কোচ কারখানা ও মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনের পরিষেবার উন্নতিতে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

Budget 2018 Union Budget Central Budget Railway Budget 2018 রেল বাজেট ২০১৮ বাজেট ২০১৮
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy