টুইটার থেকে নেওয়া।
গর্জন থামার নাম নেই যোগীর বুলডোজারের। বিজেপির মুখপাত্র (এখন সাসপেন্ডেড) নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের সহারানপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়ার অভিযোগে শনিবার দু’জনের বাড়ি চুরমার করে দিয়েছিল সরকারি বুলডোজার। রবিবার বুলডোজার চলল প্রয়াগরাজে। তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে গেল রাজনীতিক জাভেদ মহম্মদের বাড়ি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় উঠে আসা দৃশ্য অনুযায়ী, জাভেদের বাড়ির সদর দরজা ও বাইরের দেওয়াল ভাঙার কাজ চলছে। পুলিশের দাবি, শুক্রবার প্রয়াগরাজে নূপুর-মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন জাভেদ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার, প্রয়াগরাজের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
সংবাদমাধ্যমের তোলা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, কিছু সরকারিকর্মী ও পুলিশকর্মী জাভেদের বাড়ির ভিতরে দাঁড়িয়ে আছেন। ঘরময় ছড়ানো বিভিন্ন জিনিসপত্র, আসবাব। কয়েক জন কিছু আসবাব রাস্তায় এনে ফেলছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রয়াগরাজের পুরসভা বুলডোজার চালানোর আগের রাতে জাভেদের বাড়ির সামনে একটি নোটিস ঝুলিয়ে দেয়। তাতে দাবি করা হয়, জাভেদের বাড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় তলে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। তাতে আরও দাবি করা হয়, কেন তাঁর বাড়ির বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলা হবে না, তা জানতে চেয়ে মে মাসে জাভেদের জবাব তলব করা হলেও, তিনি জবাব দেননি।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের পুলিশ পুরকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সহারানপুরেও দুটি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ঘটনাচক্রে দু’টি বাড়ির কর্তারাই নূপুর-মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও সরকারি যুক্তি ছিল, বাড়ি দু’টি বেআইনি ভাবে তৈরি হয়েছে।
গত ৩ জুন, কানপুর শহরেও নূপুর-মন্তব্যের প্রতিবাদে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। কানপুরেও নামে বুলডোজার।
শুক্রবারের বিক্ষোভ এবং হিংসাত্মক ঘটনার প্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ইতিমধ্যেই ৩০০ জনকে গ্রেফতার করেছে। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ হিংসাত্মক কার্যকলাপে যুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথাও ঘোষণা করেছেন। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে ৯১ জন প্রয়াগরাজের এবং ৭১ জন সহারানপুরের বাসিন্দা। পুলিশ হাথরস থেকেও ৫১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy