Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Bus Stuck in River

আচমকাই জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় মাঝনদীতে আটকে গেল যাত্রিবোঝাই বাস, ভয়াবহ কাণ্ড হরিদ্বারে

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার কোটা নদীতে হড়পা বানের কারণে জলস্তর বেড়ে যায়। সেই সময় নদীর উপরে থাকা কজওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের সরকারি একটি বাস। তাতে ৭০ জন যাত্রী ছিলেন।

bus

কোটা নদীতে আটকে পড়েছে যাত্রিবোঝাই বাস। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
হরিদ্বার শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩১
Share: Save:

উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে যাত্রীদের নিয়ে মাঝনদীতে আটকে গেল বাস। বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকলেন যাত্রীরা। শেষমেশ ক্রেন এনে বাসটিকে তোলার চেষ্টা করা হয়। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নাজিবাবাদে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার কোটা নদীতে হড়পা বানের কারণে জলস্তর বেড়ে যায়। সেই সময় নদীর উপরে থাকা কজওয়ে দিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের সরকারি একটি বাস। তাতে ৭০ জন যাত্রী ছিলেন। কজওয়ের মাঝে আসতেই আচমকাই কোটা নদীতে হড়পা বান চলে আসে। জলের প্রবল স্রোতের মধ্যে দিয়ে বাসটি এগোনোর চেষ্টা করে। কিন্তু স্রোত বেশি থাকায় বাসটি এগোতে পারছিল না। শেষমেশ নদীর মাঝেই আটকে পড়ে বাসটি।

নদীর জলস্তর ক্রমে বেড়ে বাসের ভিতরে জল ঢুকে পড়েছিল। এই অবস্থা দেখে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাঁচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকেন। নদীর মাঝে বাস আটকে পড়ায় স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্রোত ক্রমে বাড়তে থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছিল। শেষমেশ পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে ক্রেন এবং জেসিবি আনানোর ব্যবস্থা করে। তার পর ক্রেনের সাহায্যে বাসটিকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়। অন্য দিকে, জেসিবির সাহায্যে বাস থেকে এক এক করে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়।

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, সমস্ত যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিক সতীশ কুমার বলেন, “যাত্রীদের উদ্ধারে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ আমাদের সঙ্গে দারুণ ভাবে সহযোগিতা করেছে। সমস্ত যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটিকেই নদী থেকে তোলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Haridwar Bus River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE