Advertisement
E-Paper

স্ত্রীকে খুন, অর্ধদগ্ধ দেহ মিলল জঙ্গলে

এক মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না বছর ২৯-এর তরুণীর। শেষে হোসুরের কাছে কামানাদোদ্দি জঙ্গলে অর্ধদগ্ধ দেহ মিলল তাঁর। জেরার মুখে ভেঙে পড়ল স্বামী। স্বীকার করল, খুনি সে-ই। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৮

এক মাস ধরে খোঁজ মিলছিল না বছর ২৯-এর তরুণীর। শেষে হোসুরের কাছে কামানাদোদ্দি জঙ্গলে অর্ধদগ্ধ দেহ মিলল তাঁর। জেরার মুখে ভেঙে পড়ল স্বামী। স্বীকার করল, খুনি সে-ই। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।

একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন অক্ষতা। ডিসেম্বরের পরে আর অফিসে যাননি তিনি। স্বামী ৩৮ বছরের চন্দ্রকান্ত এস কোন্দলি একটি পানশালার অংশীদারি মালিক। দশ বছর হয়েছিল তাদের বিয়ের। চার বছরের ছেলেকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর হেব্বাল-কেম্পাপুরা বিনায়কে থাকতো তারা। অক্ষতার বাড়ি সিরসিতে। আর কোন্দলি কর্নাটকের কারবারের বাসিন্দা। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছিল সে, ৬ জানুয়ারির পর থেকে স্ত্রী নিখোঁজ। ডিসিপি (সেন্ট্রাল) চন্দ্রগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম, সাধারণ কোনও নিখোঁজ ডায়েরি।’’ পরে জেরার মুখে কোন্দলি ভেঙে পড়ে। অপরাধের কথা স্বীকার করে জানায়, ৬ জানুয়ারি রাতে ছেলে বাড়িতে ছিল না। সাহাকারনগরে দাদু-ঠাকুমার কাছে ছিল। অক্ষতা ও সে, দু’জনেই মদ্যপান করেছিল সেই রাতে। কথা কাটাকাটি শুরু হয় দু’জনের। অক্ষতার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে ঝগড়া বাঁধে। ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। এর পরই বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে সে খুন করে অক্ষতাকে।

কোন্দলি পুলিশকে জানিয়েছে, বৌকে মেরে ফেলেছে বুঝতে পেরে সে নিজের পানশালার এক কর্মীকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। রাজবেন্দ্র সিংহ নামে ওই ব্যক্তিই দেহ লোপাটে সাহায্য করে। একটি সংস্থা থেকে গাড়ি ভাড়া করে কোন্দলি। গাড়িতে দেহটি তুলে দেয় দু’জনে মিলে। কোন্দলি বাড়িতে থেকে যায়। রাজবেন্দ্রই মালিকের স্ত্রীর দেহ হোসুরের কাছে ওই জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়। কোন্দলি রাজবেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়, অক্ষতার মোবাইল নিয়ে পঞ্জাবে তার নিজের বাড়িতে চলে যেতে। পরের দিন সকালে কোন্দলি অক্ষতার মা রেখাকে জানান, আগের রাতে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্ত্রী। রেখা প্রথমে ভেবেছিলেন, মাথা ঠান্ডা হলেই মেয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু বারবার ফোন করা সত্ত্বেও অক্ষতা ফোন না ধরলে চিন্তায় পড়ে যান তিনি। পরে পুলিশকে তিনি জানান, জামাই বলেছিল, তার কাছে থেকে মেয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল, কোথাও বেড়াতে যেতে পারে। এ কথায় সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। ডিসিপি চন্দ্রগুপ্ত বলেন, ‘‘পুলিশের একটি বিশেষ দল কোন্দলিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তার কথায় বেশ কিছু অস্পষ্টতা ছিল। ধীরে ধীরে নিজেই সব বলে ফেলে কোন্দলি।’’

Murder Dead Body Half Burnt Husband Wife Bengaluru
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy