Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Madhya Pradesh

২৮ আসনের উপনির্বাচনেই পূর্ণ ভোটের মেজাজ মধ্যপ্রদেশে

কংগ্রেস ছেড়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পরে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই ভোটের উপর।ভাগ্যপরীক্ষা কমল নাথেরও।

ভোট দিচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ছবি: পিটিআই

ভোট দিচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ছবি: পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৫৪
Share: Save:

বিহার দ্বিতীয় দফার সঙ্গে চলছে দেশের ১০টি রাজ্যের ৫৪টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে উপনির্বাচন ঘিরে সবচেয়ে বেশি সরগরম মধ্যপ্রদেশ। কারণ এই রাজ্যে এক সঙ্গে ২৮টি আসনের ভোটগ্রহণ চলছে। রাজ্যের ভোটের ইতিহাসে একসঙ্গে এত আসনের উপনির্বাচন কখনও হয়নি। তা ছাড়া কংগ্রেস ছেড়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদানের পরে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে এই ভোটের উপর। উল্টো দিকে কমল নাথেরও ভাগ্যপরীক্ষা। ফলে উপনির্বাচনেই যেন পুরো বিধানসভা ভোটের মেজাজ মধ্যপ্রদেশে।

এ বছরের মার্চে জ্যোতিরাদিত্য-সহ মধ্যপ্রদেশের ২২ বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের জেরে ওই আসনগুলি খালি হয়। পরে আরও কয়েক জনের দলত্যাগ এবং দুই বিধায়কের মৃত্যুর কারণে মোট ২৮টি আসন খালি হয়। জ্যোতিরাদিত্যদের দলত্যাগের জেরে ১৫ মাসের মাথায় পতন হয় কমল নাথের নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ সিংহ চৌহ্বান। সেই দিক থেকে মধ্যপ্রদেশের এই উপনির্বাচন রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

গ্বালিয়রের চম্বল অঞ্চলের ৩টি আসনে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থীদের বাদ দিলে অধিকাংশ আসনেই সরাসরি বিজেপি বনাম কংগ্রেসের দ্বিমুখী লড়াই। দু’পক্ষেরই হেভিওয়েট নেতারা প্রচারে নেমেছিলেন। তবে প্রচার পর্বে বিতর্কও কম ছড়ায়নি। ডবরা কেন্দ্রের কংগ্রেস ত্যাগী বিজেপি প্রার্থী ইমরতী দেবীকে ‘আইটেম’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন কমল নাথ। আবার বিধিভঙ্গের অভিযোগে কমল নাথকে তারকা প্রচারক (স্টার ক্যাম্পেনার)-এর তকমা কেড়ে নেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও পরে সুপ্রিম কোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেয়। অন্য দিকে জ্যোতিরাদিত্য আবার মুখ ফস্কে ‘হাত চিহ্নে’ বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার কথা বলে ফেলেছিলেন প্রচারে গিয়ে

আরও পড়ুন: শুভেন্দু কী করবেন, ‘অধিকার’ দেখাবেন মেজ অধিকারী?

এই ২৮ আসনের জন্য প্রার্থী হয়েছেন মোট ৩৫৫ জন। তার মধ্যে রয়েছেন ১২ জন মন্ত্রীও। শিবরাজ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কংগ্রেস ছেড়ে আসা এই নেতাদের মন্ত্রী করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে তাঁদের জিতে আসতে হয়। হেরে গেলে খোয়াতে হবে মন্ত্রীর পদ। উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৬৩ লক্ষ ৬৭ হাজার। মোট বুথ ৯ হাজার ৩৬১টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩৮টি বুথকে 'স্পর্শকাতর' ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন: ১৫ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমে বিহারের উন্নতি হয়েছে: নীতীশ কুমার

কোভিড আবহের মধ্যেই সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। শুধু কোভিড আক্রান্তদের ভোট দেওয়ার জন্য শেষ এক ঘণ্টা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের ১৯ জেলা জুড়ে থাকা এই আসনগুলির নির্বাচনে মোতায়েন করা হয়েছে ৩৩ হাজার নিরপত্তাকর্মী। রয়েছে ২৫০ ফ্লাইং স্কোয়াড, ১৭৩টি নজরদারি দল এবং ২৯৩টি পুলিশ চেক পয়েন্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE