লখনউয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: টুইটার থেকে
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত। কেরল, পঞ্জাব বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। এ রাজ্যেও বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সে সব তোয়াক্কা না করে অমিত শাহ স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘‘যত প্রতিবাদই হোক, সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না, থাকবেই।’’ মমতা, মায়াবতী, অখিলেশদের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তুলে বিতর্কে আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবাদে মদতের অভিযোগে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সদ্য প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
নয়া নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদ হয়েছিল লখনউয়ে। ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছিল। আবার ওই বিক্ষোভ-আন্দোলন পর্বে উত্তরপ্রদেশেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির শাহিনবাগের ধাঁচে সেখানকার ঘণ্টাঘর-এর কাছে এখনও অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল মহিলা ও শিশুরা।
সেই লখনউয়ে দাঁড়িয়েই এ দিন অমিত শাহের হুঙ্কার, ‘‘এখানে এবং এখন আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই আইন (সিএএ) প্রত্যাহার করা হবে না। যে যত প্রতিবাদই করুন, আমরা বিরোধীদের ভয় পাই না। সিএএ থাকবেই। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা বুঝতে পারছেন না, কারণ তাঁদের চোখে ভোট রাজনীতির চশমা পরা আছে।’’
আরও পড়ুন: কম্বল কাড়ার পর এ বার প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে ‘দাঙ্গা’র মামলা করল যোগীর পুলিশ
এর পরেই অমিতের নিশানায় কংগ্রেস, উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী ও অখিলেশ যাদব এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মমতা দিদি, মায়াবতীজি, অখিলেশজি, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আপনাদের দেশের যে কোনও প্রান্তে বিতর্কে আহ্বান জানাচ্ছি। আমি হলফ করে বলতে পারি, আপনারা (এই আইনে) এমন কোনও ধারা দেখাতে পারবেন না, যাতে বলা হয়েছে, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: ‘এ বার আইএমএফ, গীতা গোপীনাথের বিরুদ্ধে তোপ দাগবেন মন্ত্রীরা’, অনুমান চিদম্বরমের
কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের উদ্দেশে অমিতের কটাক্ষ, ‘‘মনমোহন সিংহ, মৌনী বাবার জমানায় আলিয়া, মালিয়া, জামালিয়ারা পাকিস্তান থেকে এসে বোমা বিস্ফোরণ করে যেত। কিন্তু ওঁরা একটা কথাও বলতেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy