গ্রেটার নিকোবর দ্বীপে অবস্থিত গ্যালেথিয়া জাতীয় উদ্যান এবং ক্যাম্পবেল বে জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ-সংবেদনশীল অঞ্চলে নগরায়ণ এবং তার জন্য সংবেদনশীল অঞ্চলের নির্দেশিকা বদল নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় (দাস)-এর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, এই বিষয়ে কেন্দ্রকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে।
গ্রেটার নিকোবর দ্বীপকে কেন্দ্র করে বন্দর, বিমানবন্দর, নগরী ইত্যাদি তৈরির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কাজের জন্য ওই দ্বীপ এলাকায় পরিবেশগত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সংবেদনশীল এলাকার পরিমাপ। সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীর আইনজীবী পূষণ মজুমদারের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার ফলে গ্রেটার নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় স্থানীয় জীবমণ্ডল, বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর পাঁচেক ধরেই এই পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই এলাকায় জনজাতি আবাস থাকায় এবং পরিবেশ, বন্যপ্রাণগত দিক থেকে সুরক্ষিত হওয়ায় একাধিক মন্ত্রকের ছাড়পত্র প্রয়োজন ছিল। নীতি আয়োগ স্বীকৃত এই প্রকল্পে অবশ্য বিভিন্ন মন্ত্রক সহজেই ছাড়পত্র দিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, গ্রেট নিকোবর উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে একটি সামরিক ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে থাকবে একটি আন্তর্জাতিক কন্টেনার টার্মিনাল নির্মাণ, সামরিক ও অসামরিক উদ্দেশ্যে দ্বৈত ব্যবহারের জন্য একটি বিমানবন্দর, একটি গ্যাস, ডিজেল এবং সৌর-বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ১,০০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপে একটি গ্রিনফিল্ড টাউনশিপ। কিন্তু আন্দামানে এমন প্রকল্পের কুপ্রভাব নিয়ে বরাবর সরব হয়েছেন পরিবেশবিদেরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)