আগামী সপ্তাহেই ভারতে আসছেন কানাডার বিদেশমন্ত্রী অনিতা আনন্দ। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার পার্শ্ববৈঠকে অনিতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমলে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতর সৃষ্টি হয়েছিল। তবে মার্ক কার্নে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে সম্পর্ক মেরামতের উদ্যোগ শুরু হয় দু’দেশের তরফেই। এই পরিস্থিতিতে অনিতার ভারত সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
কার্নের মন্ত্রিসভায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মন্ত্রী রয়েছেন চার জন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অনিতা। ঘটনাচক্রে, অনিতা এমন এক সময়ে ভারতে আসছেন, যখন কার্নের এক মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে দিল্লির সরকারি ভবনগুলিতে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করতে গিয়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির প্রসঙ্গ টেনেছেন কার্নে। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রের ট্রাম্পের দাবিকেই সমর্থন করেছেন তিনি। ট্রাম্পের উদ্দেশে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান, আর্মেনিয়া এবং আজ়ারবাইজানে শান্তিপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা— সব কিছুই আপনার নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে।’’
২০২৩ সালের জুন মাসে খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ভারত সরকারের এজেন্টরা জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তাঁর সেই দাবিকে ‘অবাস্তব’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দেয় ভারত। ঘটনার দায়ও অস্বীকার করা হয় নয়াদিল্লির তরফে।
আরও পড়ুন:
এর পরে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির অন্দরে বিদ্রোহের জেরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রুডো কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ‘ভারত বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত ট্রুডোর স্থানে কুর্সিতে বসেন কার্নে। তার পরেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।