—প্রতীকী ছবি।
ঘুষের বিনিময়ে দরপত্র বা টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার এক কর্তা-সহ মোট সাত জন। দেশের নানা প্রান্তে ধৃতদের ডেরায় হানা দিয়ে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ঘুষ হিসাবে নেওয়া টাকাও উদ্ধার করেছে সিবিআই। মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ওড়িশার একটি বেসরকারি স্কুলে নির্মাণ সংক্রান্ত কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য গুজরাতের এক বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ঘুষ চান ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কোম্পানি’র অন্যতম কর্তা। ওই কর্তার হয়ে বেসরকারি সংস্থাটির মালিকের কাছে ঘুষের টাকা চান এক ব্যক্তি। ওই কর্তার নাম করে অন্য সুযোগ-সুবিধা চান আর এক ব্যক্তিও। ঘুষবাবদ ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ওই বেসরকারি সংস্থার মালিক।
কিন্তু আগাম খবর পেয়েই ফাঁদ পেতে রেখেছিল সিবিআই। হাওয়ালার মাধ্যমে কলকাতায় টাকা দাবি করা ব্যক্তির কাছে টাকা পৌঁছতেই হাতেনাতে আটক করা হয় সরকারি কর্তার দূত হয়ে ওই বেসরকারি সংস্থার মালিকের কাছে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে। ঘুষবাবদ পাঠানো ১৯ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে জানা যায় ওই দুই ব্যক্তি ব্রিজ অ্যান্ড রুফ সংস্থার সিএমডি আশিস রাজদানের হয়ে ঘুষের টাকা তুলছিলেন।
এই ঘটনায় আশিস ছাড়াও কলকাতা নিবাসী ওই ব্যক্তি শশাঙ্ককুমার জৈন, গুজরাতের ওই বেসরকারি সংস্থার মালির হেতাল কুমার প্রবীণচন্দ্র রাজ্যগুরু-সহ মোট সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বেসরকারি সংস্থাটির মালিককে আমদাবাদের একটি নিম্ন আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকিদের সংশ্লিষ্ট এলাকার নিম্ন আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy