Advertisement
E-Paper

মৃত্যুর রাতে কী অবস্থায় ছিলেন মহারাষ্ট্রের ‘ধর্ষিতা’ চিকিৎসক? কী ভাবে ঢুকেছিলেন হোটেলের ঘরে? প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ

পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার বার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন তরুণী চিকিৎসক। দাবি, বাড়িওয়ালার পুত্রও তাঁকে দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভাবে হেনস্থা করেছেন। গত ২৩ অক্টোবর আত্মঘাতী হন তরুণী।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২২:২২
বাঁ হাতের তালুতে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক।

বাঁ হাতের তালুতে মৃত্যুর কারণ লিখে আত্মঘাতী হয়েছেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মহারাষ্ট্রের সাতারায় ‘ধর্ষিতা’ চিকিৎসক শেষ রাতে একা একাই হোটেলের ঘরে ঢুকেছিলেন। কেউ তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। হোটেলের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বাঁ হাতের তালুতে লিখে গিয়েছেন ‘সুইসাইড নোট’। দাবি, এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে পাঁচ মাস ধরে চার বার ধর্ষণ করেছেন। এ ছাড়াও বাড়িওয়ালার পুত্রের নামে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। এই দু’জনের নাম হাতে লিখে গিয়েছিলেন। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে চিকিৎসকের আত্মহত্যার পর রাজনৈতিক মহল আলোড়িত। বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করছে বিরোধীরা। অভিযোগ, দিন দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে মহারাষ্ট্রে। বিজেপি অবশ্য সেই দাবি অস্বীকার করেছে এবং ধৃতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ‘আত্মহত্যা’ তত্ত্বের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আদৌ চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন কি না, নেপথ্যে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছিল। এর পরেই হোটেল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে খবর।

ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর হোটেলের রিসেপশনে ‘চেক-ইন’ সংক্রান্ত কাজ মিটিয়ে নিজের ঘরের দিকে এগিয়েছেন তরুণী। তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিলেন না। একাই ঘরে প্রবেশ করেন। জানা গিয়েছে, সে দিন সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালার বাড়িতে পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বাড়িওয়ালার পুত্রের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয় এবং তিনি হোটেলে ফিরে আসেন। সেই রাতেই আত্মহত্যা করেন।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসাবে গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরোধের উল্লেখ রয়েছে। ফরেন্সিক তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও আসেনি। পুলিশ জানতে পেরেছে, সে রাতে বাড়িওয়ালার পুত্রকে একাধিক মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তরুণী। এক বার ফোনও করেছিলেন। তবে সেই ফোন ধরা হয়েছিল কি না, স্পষ্ট নয়। বাড়িওয়ালার এই পুত্রের বিরুদ্ধেই মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তরুণী। অভিযুক্তের আবার পাল্টা দাবি, তরুণী তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

হাতে ‘ধর্ষক’ হিসাবে যে পুলিশ আধিকারিকের নাম লিখেছিলেন তরুণী, তাঁর সঙ্গে শেষ বার মার্চ মাসে কথা হয়েছিল। তরুণীর ফোনের রেকর্ড থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো মেডিক্যাল রিপোর্ট তৈরি করার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হত। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করছেন তদন্তকারীরা।

Maharashtra satara doctor death Suicide Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy