— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বকেয়া উদ্ধার নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক প্রাথমিক ভাবে ইতিবাচকই মনে করছেন রাজ্যের প্রশাসনিক মহল। এ নিয়ে কেন্দ্র বা রাজ্যের কোনও আধিকারিকই সরাসরি মুখ খুলতে না চাইলেও, সূত্রের দাবি, যে প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ আটকে রয়েছে, সেগুলির তথ্য ধরে ধরে রাজ্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বৈঠকে। রাজ্যও তার উত্তর দিয়েছে।
সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত প্রকল্পগুলিতে বরাদ্দ না ছাড়ার নেপথ্য কারণ প্রধানত দু’টি। প্রথম, অনিয়ম ও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে ওঠা প্রশ্ন এবং দ্বিতীয়, ব্র্যান্ডিং। এ দিনের বৈঠকে প্রকল্প ধরে ধরে রাজ্যের থেকে সেই সব ব্যাখ্যা চেয়েছে কেন্দ্র। তার মধ্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে যে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, সে ব্যাপারে রাজ্য ফৌজদারি পদক্ষেপ করে নয়ছয় হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আবাসের উপভোক্তা তালিকা সংশোধনের পরে সেই প্রকল্পেও ‘বেহাত’ হওয়া টাকা উদ্ধার ও সেই প্রকল্পের ব্র্যান্ডিং যথাযথ ভাবে করা হয়েছে কি না, তারও প্রমাণ-জবাব চাওয়া হয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ব্র্যান্ডিং এবং সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির (রাজ্যের পরিভাষায়) রং-এর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিধি মানা হবে কি না, সেই জবাবও চাওয়া হয়েছে রাজ্যের আমলাদের কাছে। আবার খাদ্য বণ্টনে রেশন দোকানগুলিতে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের লোগো ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে সব জবাব দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য সূত্রের দাবি।
মঙ্গলবার কৃষি ভবনের প্রায় তিন ঘণ্টার ওই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন সচিব শৈলেশ কুমার সিংহ-সহ অন্য আধিকারিকেরা। রাজ্যের তরফে কথা বলেন অর্থসচিব মনোজ পন্থ। ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, বনসচিব বিবেক কুমার, খাদ্যসচিব পারভেজ সিদ্দিকি, পূর্তসচিব অন্তরা আচার্য ও পঞ্চায়েত সচিব পি উলাগানাথন। বৈঠকের পরে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা জানান, বৈঠক হয়েছে ইতিবাচক। মুখ্যমন্ত্রীকে সবিস্তার তথ্য না জানানোর আগে এ নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy