প্রয়াত মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধ কোথায় হবে, তার জন্য প্রাথমিক ভাবে কিছু এলাকা মোদী সরকার চিহ্নিত করেছে। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর পরিবারকে এই বিকল্পগুলি পাঠানো হয়েছে।
কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ ছিল, অন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রনেতাদের মতো স্মৃতিসৌধের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় মনমোহনের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা না করে নিগমবোধ ঘাট শ্মশানে তা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি সূত্রের খবর, মনমোহনের স্মৃতিসৌধ তৈরির প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যমুনা নদীর ধারে রাজঘাট, রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থল ও কিসান ঘাটে এক থেকে দেড় একরের মতো তিনটি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তারা জমি চিহ্নিত করার পরে এ ব্যাপারে মনমোহনের পরিবারের মত চাওয়া হয়েছে। রাজঘাটের কাছে যেখানে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, সঞ্জয় গান্ধীর স্মৃতিসৌধ রয়েছে, তার কাছেই মনমোহন সিংহের স্মৃতিসৌধ তৈরি হতে পারে।
স্মৃতিসৌধ ও শেষকৃত্য নিয়ে কংগ্রেসের দোষারোপের পরেই বিজেপি অভিযোগ তুলেছিল, কংগ্রেস নিজেই জীবিত অবস্থায় মনমোহন সিংহের অপমান করেছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে মোদী সরকার মরণোত্তর ভারতরত্ন ঘোষণা করে দাবি করতে পারে যে, কংগ্রেস মনমোহনকে সম্মান না দিলেও মোদী সরকার দিচ্ছে। তাই কংগ্রেস শিবির আগেভাগেই সেই দাবি তুলে দিয়েছে। কংগ্রেসশাসিত তেলঙ্গানা বিধানসভায় মনমোহনের জন্য ভারতরত্নের দাবিতে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতারাও এই প্রস্তাবে সমর্থন জানান। তবে একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলিকে দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে এ বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন প্রণব মুখোপাধ্যায় মনমোহনকে ভারতরত্ন দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু সে সময় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী তার জবাবও দেননি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)