চিনি। —ফাইল চিত্র।
চিনি নিয়ে কি কালোবাজারির আশঙ্কা করছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার? সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও দেশের সমস্ত পাইকারি, খুচরো ও বড় ব্যবসায়ীর জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রক। চিনি ও ভোজ্যতেল বিভাগের অধিকর্তা বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছেন, পাইকারি, খুচরো-সহ সমস্ত বড় ব্যবসায়িক চেনকে চিনির স্টক জানাতে হবে। প্রতি সোমবার সাপ্তাহিক মজুতের পরিমাণ কী সেই তথ্য কেন্দ্রের পোর্টালে তুলে ধরতে হবে। চিনি উৎপাদক সংস্থাকেও তা জানাতে হবে।
সমস্ত রাজ্যের খাদ্য দফতরকে এই ব্যাপারে অবহিত করেছে কেন্দ্র। রাজ্যের খাদ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভোজ্য তেলের ব্যাপারে এই নির্দেশিকা আগেই জারি হয়েছিল। এ বার চিনির ক্ষেত্রেও তা করা হল। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। তবে এ ব্যাপারে রাজ্যের কিছু করণীয় নেই। যা করতে হবে, ব্যবসায়ী বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকেই করতে হবে।’’
এই নির্দেশিকা নিয়ে রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই রেশনে চিনি দেওয়া বন্ধ। আমরা দাবি জানাব, শুধু মজুতের পরিমাণ জেনেই ক্ষান্ত থাকলে হবে না। রেশন মারফত চিনি দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকের মতে, বর্ষার পরে চিনি নিয়ে কালোবাজারি বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। এ বারও সেই সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। চিনির দাম নিয়ন্ত্রণও করতে চাইছে কেন্দ্র। কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে যাতে মজুতদাররা দাম না বাড়াতে পারে সেটাও অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy