Advertisement
E-Paper

‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ এখনই বাদ নয় সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে: কেন্দ্র, কেন ফের মাথাচাড়া দিল এই বিতর্ক

সাম্প্রতিক কালে দাবি উঠেছে, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি বাদ দিয়ে দেওয়া হোক। তা নিয়েই এ বার লিখিত জবাবে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৫:২৩

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার এখনই কোনও পরিকল্পনা নেই। বৃহস্পতিবার এ কথা সংসদে জানিয়ে দিল কেন্দ্র।

সাম্প্রতিক কালে দাবি উঠেছে, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি বাদ দিয়ে দেওয়া হোক। তা নিয়েই এ বার লিখিত জবাবে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি বলেছেন, এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতেই পারে। কিন্তু সরকারি ভাবে সংবিধানের প্রস্তাবনা বদলানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।

‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনায় যুক্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে জরুরি অবস্থার সময়। আরএসএস বা সঙ্ঘের তরফে এই শব্দগুলিকে ‘ভারতীয় সংস্কৃতি-বিরোধী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। পরে ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির ক্ষমতায় আসার পর বহু সংশোধনীই বাতিল হয়েছিল। সেই সময় জনতা পার্টির মধ্যে আরএসএস ঘনিষ্ঠ নেতারাও ছিলেন। কিন্তু ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি থেকে গিয়েছিল প্রস্তাবনায়।

সম্প্রতি নতুন করে বিতর্কটি মাথাচাড়া দিয়েছে। শব্দ দু’টি নিয়ে ফের আপত্তি জানিয়েছে আরএসএস। সঙ্ঘের ‘সরকার্যবাহ’ (সাধারণ সম্পাদক) দত্তাত্রেয় হোসাবলে বক্তব্য, জরুরি অবস্থার সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার অসাংবিধানিক ভাবে ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দুটি যোগ করেছিল। তাই ওই দুই শব্দ বাদ দেওয়া প্রয়োজন। গত জুন মাসে দিল্লিতে ‘জরুরি অবস্থার ৫০ বছর’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় হোসাবলে বলেছিলেন, ‘‘জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সে সময় সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল, তা কি আর বহাল রাখা উচিত!’’

হোসাবলের পর এ বিষয়ে সদ্যপ্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের বক্তব্য নিয়েও বিতর্ক বাধে। ধনখড় বলেছিলেন, ‘‘ভারতের সংবিধান ছাড়া অন্য কোনও সংবিধানের প্রস্তাবনা কখনও পরিবর্তিত হয়নি। কারণ সংবিধানের প্রস্তাবনা অপরিবর্তনযোগ্য। কিন্তু আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনা জরুরি অবস্থার সময়, ১৯৭৬ সালের ৪২তম সংবিধান (সংশোধনী) আইন দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল। ‘সমাজতান্ত্রিক’, ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘অখণ্ডতা’ শব্দগুলি যুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে।’’

এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। লোকসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘‘আরএসএস-বিজেপি সংবিধানই চায় না। ওরা মনুস্মৃতি চায়।’’ সেই বিতর্কে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে দিল কেন্দ্র।

Constitution Centre
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy