Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Uniform Civil Code

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রূপায়ণে এগোচ্ছে কেন্দ্র

বৃহস্পতিবার রাতে লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেছেন, “আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তা রূপায়ণের বিষয়ে কাজ চলছে। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিই, তা পূরণ করি।”

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৫
Share: Save:

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেছিলেন, সংবিধান সংশোধনে সংসদের শেষ কথা বলার ক্ষমতা থাকা উচিত। এ বার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়ে দিলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার জন্য মোদী সরকার কাজ করছে। এই দুই মন্তব্যকে এক সূত্রে বেঁধে বিরোধীরা মনে করছেন, পরিকল্পিত ভাবেই এগোচ্ছে মোদী সরকার।

বৃহস্পতিবার রাতে লখনউয়ে এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ বলেছেন, “আমরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তা রূপায়ণের বিষয়ে কাজ চলছে। আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিই, তা পূরণ করি।” ইতিমধ্যেই কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার জন্য কমিটি গঠন হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে গোটা দেশে একই বিধি চালু হবে। তাতে মুসলিম ও বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আপত্তি রয়েছে।

রাজনাথ বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদী আমাকে ভোটের ইস্তাহার তৈরির দায়িত্ব দিয়ে বলেছিলেন, ইস্তাহারে যা বলা হবে, তা যেন পূরণ হয়। আমরা প্রতিশ্রুতি মাফিক কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করেছি। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রূপায়ণের কাজও চলছে।” কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের বক্তব্য, আইন কমিশন আগেই বলেছে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োজন নেই। কিন্তু বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, সংবিধানেই এর কথা বলা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সরকার নিজের খুশিমতো সংবিধান সংশোধন করতে চাইছে। সেইসঙ্গে মোদী সরকার চাইছে, সুপ্রিম কোর্টও যেন তাতে বাধা না-দেয়। সংসদের ক্ষমতা সর্বোচ্চ বলে উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় যুক্তি দেওয়ার পরে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেছিলেন, সংসদ নয়, সংবিধানই সর্বোচ্চ।

আজ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, “প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু ২০২০ সালে বলেছিলেন, সংবিধানই সর্বোচ্চ।” সংবিধানের মূল কাঠামোয় হাত দেওয়া যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট কেশবানন্দ ভারতী মামলায় রায় দিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী সরকার তার বিরুদ্ধে ছিল। এখন ধনখড় ওই রায়কে ‘খারাপ নজির’ বলে মন্তব্য করার পরে জয়রাম রমেশ সওয়াল করেছেন, অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণী, অরুণ জেটলিরা কেশবানন্দ ভারতী মামলার রায়কে সমাদর করতেন। এখন পরিকল্পিত ভাবে বিচার বিভাগের সঙ্গে সংঘাতে যাচ্ছে মোদী সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uniform Civil Code Central Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE