রাস্তার ধারে যত্রতত্র হেলমেট বিক্রির ঘটনা নিয়ে এ বার সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই হেলমেটগুলি অনেক ক্ষেত্রেই সরকার নির্ধারিত সুরক্ষা মানদণ্ড মেনে তৈরি হয় না। এর ফলে বাইক এবং স্কুটারচালকদের জীবনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই কোথাও এই ধরনের হেলমেট তৈরি বা বিক্রি হচ্ছে কি না, তার উপর নজর রাখতে এবং কড়া পদক্ষেপ করতে প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।
শনিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দেশবাসীকেও এ বিষয়ে সাবধান করে দিয়েছে কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক দফতর এবং ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস)। বাইকচালক এবং আরোহীদের সুরক্ষার জন্য শুধুমাত্র বিআইএস অনুমোদিত হেলমেট ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিআইএস-এর ছাড়পত্র নেই এমন হেলমেট তৈরি এবং বিক্রি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপের জন্যও বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
১৯৮৮ সালের ‘মোটর ভেইকল্স’ আইন অনুসারে, বাইক বা স্কুটার চালানোর জন্য হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। তবে ওই হেলমেটগুলি কতটা নিরাপদ, তা-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে কেন্দ্রের উপভোক্তা বিষয়ক দফতর জানিয়েছে, দেশে ২১ কোটিরও বেশি দু’চাকার যান চলাচল করে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্তু জরুরি। এ অবস্থায় নিম্নমানের হেলমেট চালক বা যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
২০২১ সালের এক নির্দেশিকা অনুসারে, বাইক বা স্কুটারের জন্য প্রতিটি হেলমেটে বিআইএসের অনুমোদনের ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশন’ (আইএসআই) ছাপ বাধ্যতামূলক। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ভারতে ১৭৬টি হেলমেট প্রস্তুতকারী সংস্থার বিএসআই ছাড়পত্র রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এই ছাড়পত্র ছাড়াও হেলমেট বিক্রি হচ্ছে বলে নজরে এসেছে উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া অনেক হেলমেটেই বিআইএস ছাড়পত্র নেই বলে দফতরের নজরে এসেছে। এগুলি ব্যবহারের ফলে (চালক এবং যাত্রীর) ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। অনেক ক্ষেত্রে এই হেলমেটগুলি ব্যবহারের ফলে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয়।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এর আগেও দেশ জুড়ে জেলাশাসকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল উপভোক্তা বিষয়ক দফতর। নিম্নমানের হেলমেট তৈরি এবং বিক্রি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার ফের সব রাজ্যকে এ বিষয়ে সতর্ক করল তারা।