ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বঘেলের পুত্র চৈতন্য বঘেলকে গ্রেফতার করল ইডি। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। শুক্রবার সকালেও তল্লাশি চলে। তার পর চৈতন্যকে গ্রেফতার করা হয়। ভূপেশের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে এ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে।
আবগারি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকা এবং আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে ভূপেশের পুত্রের বিরুদ্ধে। ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ জেলার ভিলাই শহরে তাঁদের বাড়ি। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) সেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে, আর্থিত তছরুপ বিরোধী আইনের ১৯ নম্বর ধারায় চৈতন্যকে গ্রেফতার করেছে ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে তল্লাশির সময়ে তিনি ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে নতুন কিছু তথ্য পেয়েই শুক্রবার ভিলাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি।
আরও পড়ুন:
চৈতন্যের গ্রেফতারির পর ভূপেশের বাড়ির সামনে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভূপেশ জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁর পুত্রের জন্মদিন। সে দিনই ইডি তাঁকে গ্রেফতার করল।
শুক্রবার সকালে ভূপেশ বলেন, ‘‘মোদী এবং শাহ ইডিকে আমার বাড়িতে পাঠিয়েছেন। আমরা এতে ভয় পাচ্ছি না। আমরা মাথা নিচু করব না। ভূপেশ বঘেল ভয় পাবে না। আমরা সত্যের এই লড়াই চালিয়ে যাব।’’ বিহারে ভোটার তালিকার সংশোধনের প্রসঙ্গও টানেন ভূপেশ। বলেন, ‘‘এক দিকে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে বিহারের ভোটারদের সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। অন্য দিকে বিরোধীদের দমিয়ে দিতে ইডি, আইটি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের মানুষ এটা বুঝে গিয়েছেন।’’ পুত্রের গ্রেফতারির পর ভূপেশ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আজ রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশনের শেষ দিন। আদানিদের প্রকল্পের জন্য গাছ কাটার বিষয়টি অধিবেশনে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু ভিলাই নিবাসে সাহেব ইডিকে পাঠিয়ে দিলেন।’’ উল্লেখ্য, আদানিদের কয়লা প্রকল্পের জন্য গাছ কাটার বিরোধিতা ভূপেশ আগেও করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাও তার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। পুত্রের গ্রেফতারির পর সেই ঘটনাকে উল্লেখ করে বিজেপিকে নিশানা করলেন ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।