Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Chhattisgarh school denies food

ফুটবল ফাটিয়ে ফেলার ‘শাস্তি’, ছত্তীসগঢ়ে ৪৫ পড়ুয়াকে দু’দিন অনাহারে রাখল আবাসিক স্কুল

পুলিশ সূত্রে খবর, অম্বিকাপুরের এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৪১। অভিযোগ, প্রায় দেড়শো পড়ুয়া থাকলেও, তাদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করেননি কর্তৃপক্ষ।

এই আবাসিক স্কুলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত।

এই আবাসিক স্কুলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
রাইপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:১৬
Share: Save:

খেলতে খেলতে ফুটবল ফাটিয়ে ফেলেছিল পড়ুয়ারা। ‘শাস্তি’ দিতে তাদের দু’দিন অনাহারে রাখার অভিযোগ উঠল ছত্তীসগঢ়ের এক আবাসিক স্কুলের বিরুদ্ধে। সুরজপুর জেলার ঘটনা।

আবাসিক স্কুলের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। এই প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয়রাও। রাজধানী রাইপুর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অম্বিকাপুরে রয়েছে এই আবাসিক স্কুলটি। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানরা স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অম্বিকাপুরের এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৪১। অভিযোগ, প্রায় দেড়শো পড়ুয়া থাকলেও, তাদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করেননি কর্তৃপক্ষ। দু’টি ঘরের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের। পড়ুয়াদের অনাহারে রাখার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন স্থানীয়রা তাদের বিস্কুট বিতরণ করতে গিয়েছিলেন। পড়ুয়াদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন দু’দিন ধরে তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে না। এই কথা জানার পরই হইচই পড়ে যায়। স্থানীয়রা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখান। পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও আসেন। তাঁরাও স্কুলের এই ‘অমানবিক’ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখান।

বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৮ অগস্ট পড়ুয়ারা ফুটবল খেলছিল। খেলার সময় ফুটবল ফেটে যায়। এই খবর স্কুলের সুপার পিটার স্যাডমের কাছে পৌঁছলে তিনি পড়ুয়াদের উচিত ‘শিক্ষা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ‘ভুলের’ জন্য পড়ুয়াদের অনুশোচনা হওয়া উচিত এবং ভুল করলে কী শাস্তি পেতে হবে, তা টের পাওয়ানোর জন্য পড়ুয়াদের না খাইয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন সুপার। তদন্তের রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনে সূত্রে খবর, তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে সুপার স্যাডম স্বীকার করেছেন যে, পড়ুয়াদের দু’বেলা খাবার বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি যুক্তি দেখান, লড়াই কী বিষয়, সেটি শেখার প্রয়োজন আছে শিশুদের। তাই এ কাজ করেছেন। যদিও তাঁর এই যুক্তি ধোপে টেকেনি। সাসপেন্ড করা হয় সুপারকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chhattisgarh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE