সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। —ফাইল চিত্র ।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সাংসদ এবং বিধায়কদের উপর নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হোক! এমনই অনুরোধ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তবে সেই অনুরোধ খারিজ করে আবেদনকারীকে সতর্ক করল শীর্ষ আদালত। আবেদনকারীকে সতর্কও করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি জানান, ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করা থেকে তিনি নিজেকে বিরত রেখেছেন। তবে ভবিষ্যতে আবেদনকারী যেন এই ধরনের অনুরোধ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ না হন।
ওই আবেদনকারী সুরেন্দ্র কুন্দ্রার অনুরোধ শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা কি এ বার সাংসদ ও বিধায়কদের কাঁধে মাইক্রোচিপ লাগাব? কী ভাবে কোনও সাংসদ বা বিধায়ককে ডিজিটাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে? সাংসদ এবং বিধায়কদেরও গোপনীয়তার অধিকার আছে, আমরা কী ভাবে তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারি? ভবিষ্যতে এই ধরনের পিটিশন দায়ের করা উচিত নয়।’’
শুনানির শুরুতেই, প্রধান বিচারপতি আবেদনকারী সুরেন্দ্রকে সতর্ক করে জানান যে, সময় নষ্ট করার জন্য শীর্ষ আদালত তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করতে পারে। যদিও সুরেন্দ্র শীর্ষ আদালতে জানান, তিনি তাঁর আবেদন ১৫ মিনিটের মধ্যেই ব্যাখ্যা করবেন।
এর পর ভারতীয় সংবিধানকে উদ্ধৃত করে সুরেন্দ্র বলেন, সাংসদ এবং বিধায়কেরা নির্বাচনে জয়ের পরে ‘তারা শাসকদের মতো আচরণ করেন’। সুরেন্দ্রর দাবি, সাংসদ এবং বিধায়কদের বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো উচিত, যাতে তাঁদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা যায়। এর পরেই আবেদনকারীকে থামিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, তিনি আবেদনকারীকে জরিমানা করছেন না। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের আবেদন নিয়ে আদালতের সময় নষ্ট করার বিষয়ে আবেদনকারীকে সতর্ক করেছেন প্রধান বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy