Advertisement
E-Paper

মুখ্যমন্ত্রীর সফরে উধাও নিরাপত্তার বেড়া, খুশি শিলচর

মুখ্যমন্ত্রী এলেন। সঙ্গে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কয়েক ঘণ্টা শিলচরে কাটালেন তাঁরা। ছিলেন প্রকাশ্য সভায়। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে ছিল না কোনও বাড়াবাড়ি। বিজেপির দাবি, এটিই সুশাসনের নমুনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:১৭

মুখ্যমন্ত্রী এলেন। সঙ্গে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কয়েক ঘণ্টা শিলচরে কাটালেন তাঁরা। ছিলেন প্রকাশ্য সভায়। কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ে ছিল না কোনও বাড়াবাড়ি। বিজেপির দাবি, এটিই সুশাসনের নমুনা। কংগ্রেসের বক্তব্য, নতুন নতুন কত কী হয়! এমন রাজনৈতিক তরজার মধ্যেও সাধারণ মানুষ খুশি, মুখ্যমন্ত্রীর চলাচলের জন্য কোনও যন্ত্রণা পোহাতে হয়নি তাঁদের।

আজ প্রতিবন্ধীদের সহায়ক সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে কলকাতা-শিলচর বিমানে এখানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। গুয়াহাটি থেকে হেলিকপ্টারে শিলচর আসেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়মন্ত্রী থওরচাঁদ গেহলট ও তাঁর প্রতিমন্ত্রী কিষণপাল গুর্জর। বিমানবন্দর থেকে টাউন ক্লাবের মাঠে পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। কনভয়ের সুবিধার জন্য কোথাও সাধারণ জনতাকে আটকে রাখা হয়নি। এমনকী, টাউন ক্লাবের সামনের রাস্তাতেও যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক। ছিল না হুটার বা সাইরেনে সতর্ক করার মতো ব্যাপার।

কিছু দিন আগেও তরুণ গগৈ যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিলচর এসেছেন, তাঁর চলাচলের জন্য শহরের বহু রাস্তায় নো-এন্ট্রি বোর্ড লাগানো হতো। সার্কিট হাউসে রাত কাটালে পুরো রাস্তায় সাধারণ জনতার হাঁটাচলায় নিষেধাজ্ঞা জারি হতো। বিকট শব্দে সাইরেন বাজিয়ে ফাঁকা রাস্তা পেরোতেন গগৈ।

মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় দাঁয়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার সুভাষিনী শঙ্করন বলেন, নো এন্ট্রি লাগানো বা জনগণের চলাচলে আপত্তি করা পুরোপুরি জেলা পুলিশের ব্যাপার। সর্বানন্দ সোনোয়াল নিরাপত্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি পছন্দ না করলেও তিনি এ নিয়ে কোনও বাড়তি চাপে নেই বলেই সুভাষিনী জানান। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অবশ্য ভিন্ন মত। এক পদস্থ অফিসার বললেন, ‘‘তাঁর কনভয়ের জন্য অন্যদের যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়ালের না-পসন্দ বলে আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশ অতিরিক্ত দিতে হয়। নজরদারিতেও অত্যন্ত কড়াকড়ি অবলম্বন করতে হয়।’’ তাঁদের ভরসার জায়গা, গগৈয়ের মতো সোনোয়ালেরও জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।

বিজেপির ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি শান্তনু নায়েক বলেন, ‘‘সর্বানন্দ সোনোয়ালের আমলে পরিবর্তন যে এসেছে, তার বড় প্রমাণ মুখ্যমন্ত্রীর চলন-বলন। জনতার মুখ্যমন্ত্রী জনতার সঙ্গে মিশে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন তিনি।’’ অন্যদিকে, গগৈ মন্ত্রিসভার সদস্য, উধারবন্দের প্রাক্তন বিধায়ক অজিত সিংহ এ সব ব্যাপারকে গুরুত্ব দিতে চান না। তিনি বলেন, ‘‘নতুন নতুন এমন কত কী-ই হয়! কিছু দিন পর সবই এক হয়ে যাবে।’’

Chief Minister Silchar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy