মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানে বিপর্যস্ত হিমাচলের বিস্তীর্ণ অংশ। বুধবার সন্ধ্যাতে নতুন করে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় শিমলা এবং লাহুল-স্পিতিতে। তার জেরে ভয়ঙ্কর হড়পা বান নেমে আসে। আর সেই হড়পা বানে রাস্তা, বসতি এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, আচমকা হড়পা বানের জেরে বহু রাস্তা ভেসে গিয়েছে। শিমলা এবং লাগুল-স্পিতিতে দু’টি সেতু ভেসে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। শিমলায় বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। পুলিশচৌকি ভেসে গিয়েছে। গানভি, কিয়াও এবং কুট— এই তিন গ্রাম একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে হড়পা বানের জেরে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
শুধু হড়পা বানই নয়, হিমাচলের জায়গায় জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দু’টি জাতীয় সড়ক-সহ রাজ্যে জুড়ে মোট ৩০০টি রাস্তা বন্ধ। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি কুলুর। জেলাশাসক তরুল এস রবীশ জানিয়েছেন, খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে পর পর দু’টি মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। তার জেরে নদীগুলির জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর ধারে বসতিগুলি থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়।
অন্য দিকে, কিন্নৌরেও হড়পা বান নেমে আসে বুধবার বিকেলে। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে সেনার কাছে খবর যায়। সেই খবর পেয়েই উদ্ধারকাজে নামে তারা। হৃষি ডোগরি উপত্যকা মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। সেই জল হোজিস লুংপা নালা হয়ে হড়পা বান নেমে আসে। বর্ষার মরসুমে এখনও পর্যন্ত হিমাচলে ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মন্ডী এবং তার পর কাংড়ায়।