তরুণীকে ধর্ষণ করে পাঁচতলা থেকে ফেলে দিল ধর্ষক। গত শুক্রবার গভীর রাতে এমনই ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে দিল্লির বেগমপুর এলাকায়। ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লির রোহিনীর বিএসএ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।
পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিযুক্তের নাম রোহিত। তিনি কুড়ি বছর বয়সী ওই তরুণীরই সহকর্মী। তাঁরা এক সঙ্গে দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে কাজ করেন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ অটোতে চেপে ওই তরুণী, রোহিত এবং তাঁদের দুই পুরুষবন্ধু বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। হঠাৎ বেগমপুরের একটি বাড়ির সামনে এসে অটোচালককে অটোটি দাঁড় করাতে বলেন রোহিত। এবং জানান, তিনি তাঁর বাবার গাড়ি নিয়ে আসেছেন। ওই গাড়িতে করেই সবাইকে তিনি বাড়ি পৌঁছে দেবেন। তরুণীকে সঙ্গে ডেকে নিয়ে বাকিদের অটোতেই অপেক্ষা করতে বলেছিলেন রোহিত।
আরও পড়ুন: সাত মাসে ৭০ কাশ্মীরি যুবক জঙ্গি দলে!
আধ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও তাঁদের ফিরতে না দেখে চিন্তায় পড়ে যান অন্যান্য বন্ধুরা। কিছুক্ষণ পর ওই বাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার শুনে ছুটে যান তাঁরা। দেখেন ওই ভবনটির এক পাশে পড়ে রয়েছে ওই তরণী। মাথায় গুরুতর আঘাত, সারা শরীরে পোশাক এক্কেবারে নেই বলেলই চলে। জ্ঞান ফিরলে তরুণী জানান, রোহিত তাঁকে পাঁচতলা ওই নির্মীয়মান ভবনটির ছাদে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এবং সেখান থেকে তাঁকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ফোন করেন। এর পর তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। জেরার মুখে রোহিত জানান, সে দিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় তিনি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এর পর ওই তরুণীকে তাঁকে বাধা দিতে গেলে, তিনি তাঁরে পাঁচতলা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।