ওড়িশার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থল গঞ্জাম জেলার গোপালপুর সমুদ্রসৈকত। বছরভর সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। এ বার সেই গোপালপুর সৈকতেই এক কলেজপড়ুয়াকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে ওড়িশায়। ইতিমধ্যেই আট সন্দেহভাজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গোপালপুর সৈকতে সন্ধ্যাবেলায় একটি উৎসবে বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। তাঁরা দু’জনে সৈকতের একটু নির্জন স্থানে বসে গল্প করছিলেন। নির্যাতিতার দাবি, সেই সময় সেখানে মোটরবাইকে করে ১০ জন আসেন। তাঁদের ঘিরে ধরে নানা রকম কটূক্তি করতে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, দু’জনের ছবি তাঁরা ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। প্রতিবাদ করেছিলেন তরুণীর পুরুষ বন্ধুটি। তার পরই পরিস্থিতি বদলে যায়।
অভিযোগ, ওই দশ জন মিলে দু’জনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তরুণীর বন্ধুকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর হাত-পা বেঁধে সৈকতেই ফেলে রাখেন অভিযুক্তেরা। তার পর তরুণীকে টানতে টানতে নিয়ে যান সৈকতের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে। সেখানে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। তার পর পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। সেই ঘটনার পর তরুণী এবং তাঁর বন্ধু গোপালপুর থানায় পৌঁছে ঘটনাটি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলতে থাকে। ব্রহ্মপুরের পুলিশ সুপার শ্রবণ বিবেক এম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আট জনকে আটক করা হয়েছে। সকলেই সাবালক। তবে এই ঘটনায় আরও অনেকের জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা কেউই স্থানীয় নন। মনে করা হচ্ছে, তাঁরাও উৎসবে এসেছিলেন।