নীতীশের কাছে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে হাজির স্কুল পডুুয়া। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু তার বাবা প্রতি দিন মদ খায়। তার পর বাড়ি এসে অশান্তি করে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের অবস্থার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলল এক খুদে।
শনিবার স্ত্রী মঞ্জু সিংহের মৃত্যুবার্ষিকীতে নালন্দায় পৈতৃক বাড়িতে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। বাবার নামাঙ্কিত পার্কে স্ত্রীর ছবিতে মালা দিয়ে বেরিয়ে আসছিলেন। সে সময় জনতার ভিড়ে মুখ্যমন্ত্রীর চোখ গেল এক খুদের দিকে। হাত নেড়ে সে কিছু বলতে চাইছিল মুখ্যমন্ত্রীকে।
একটু এগতেই ছেলেটার গলা শোনা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সে চিৎকার করে বলছে, ‘‘স্যর, আমার পড়াশোনার ব্যাপারে আপনার সাহায্য চাই। আমার বাবা আমাকে সাহায্য করে না।’’ মুখ্যমন্ত্রী এক আধিকারিককে দেখতে বললেন বাচ্চাটি কী চায়। ছেলেটির কাছে গিয়ে তার অসুবিধার কথা শুনলেন জেলাশাসক। ছেলেটি জানায় তার নাম সোনু। জেলাশাসককে সে বলে, ‘‘আমি একটা সরকারি স্কুলে পড়ি। কিন্তু স্কুলে পড়াশোনার মান খুব খারাপ। আমার অঙ্কের মাস্টারমশাই ভাল করে ইংরেজি জানেন না...’’ সোনু আরও জানায় যে সে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার স্বপ্ন দেখে। ইচ্ছে আইএএস হওয়ার। কিন্তু স্কুলের এমন পড়ানো তার উপর বাড়িতে অশান্তি, কী করে যে কী হবে বুঝতেই পারছে না। কাঁদতে কাঁদতে সোনু বলে, ‘‘বাবা ডায়েরি বিক্রি করে। কিন্তু আমার পড়াশোনা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। যা রোজগার করে সবই মদ আর তাড়ি খেয়ে শেষ করে দেয়।’’ এই কথা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সরকারি আধিকারিকরা। রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। আর তাঁর সামনেই কিশোরের এমন অভিযোগ!
ছেলেটি কিন্তু থামেনি। সোনু জানায়, সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। নিজের পড়াশোনা চালাতে ছোটদের টিউশন পড়াতে হয়। কিন্তু তাতে পেরে উঠছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy