Advertisement
E-Paper

মহাজোটে নজর, ঘনিষ্ঠ আপ ও কংগ্রেস

সিবিআই আদালতের বিচারক এইচ বি লোয়ার মুত্যুর কারণ খুঁজতে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ার আবেদন জানিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা যে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন, সেখানেও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ছিল আপ। দিল্লি বিধানসভার রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ওই দুই দলের কাছে আসাটা তাৎপর্যপূর্ণ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৯

শত্রু অভিন্ন। তাই বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে কাছে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি।

চলতি বাজেট অধিবেশনেই প্রথম বার আপের তিন সাংসদ যোগ দিয়েছে রাজ্যসভায়। তার পরেই কাছাকাছি আসতে দেখা যাচ্ছে দু’দলকে। এক সঙ্গে কক্ষত্যাগ করেছেন। সিবিআই আদালতের বিচারক এইচ বি লোয়ার মুত্যুর কারণ খুঁজতে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ার আবেদন জানিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা যে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিলেন, সেখানেও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে ছিল আপ। দিল্লি বিধানসভার রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ওই দুই দলের কাছে আসাটা তাৎপর্যপূর্ণ।

গত বছর পর্যন্ত আপ-কে বিরোধী অক্ষ থেকে দূরে রাখতে চেয়েছে কংগ্রেস। দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় মাকেনের মতে, কংগ্রেস ও আপ হাত মেলালে তা রাজধানীতে তাঁদের ক্ষতি করবে। যদিও তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরেই আপকে বিরোধী জোটে আনার চেষ্টা চালিয়েছে। সেই চেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের একজোট করার ডাক ইতিমধ্যেই দিয়েছেন রাহুল গাঁধী-সনিয়ারা। তবে সমস্যা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বেশ কিছু আঞ্চলিক নেতা-নেত্রী এখনই জোটে রাহুলের নেতৃত্ব মানতে রাজি নন। মাঝে শরদ পওয়ার নিজের মতো করে বিরোধী অক্ষ গড়ার চেষ্টা করলেও, পরে তার দায়িত্ব তুলে নেন সনিয়া।

কংগ্রেসের বৈঠকে রাহুলকে নিজের নেতা হিসাবে মেনে সনিয়া বার্তা দিলেও, জোট প্রক্রিয়া গড়ার কাজটি রেখেছেন নিজের হাতে। মমতা-মুলায়মের মতো বর্ষীয়ান নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে জোটের খুঁটিনাটি আলোচনা তিনিই করবেন বলে জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার দলে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি ছিল মায়াবতীর দল বিএসপি-র। বিএসপি ইতিমধ্যেই কর্নাটকে জেডিএস-এর সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়ছে, যাতে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। বিএসপি-র অবস্থানে উত্তরপ্রদেশেও অখুশি কংগ্রেস। ওই রাজ্যে বিজেপিকে হারাতে সনিয়া-রাহুলেরা খোলাখুলি মহাজোটের ডাক দেওয়ার পরে অখিলেশ সাড়া দিলেও, নীরব মায়াবতী। কংগ্রেসের অবশ্য যুক্তি— ভোটের দিন যত এগোবে, পরিস্থিতি বদলাবে।

বিরোধীদের একজোট হওয়া চিন্তায় রেখেছে বিজেপিকেও। তাই জোট প্রক্রিয়া শুরুর আগেই তা ভেস্তে দিতে নেতা কে হবেন, সেই প্রশ্ন তুলে বিভাজন ঘটাতে চাইছে বিজেপি। তবে তাতে সাড়া না-দিয়ে আপাতত বিরোধীদের একজোট করার কাজেই হাত লাগিয়েছেন সনিয়া।

Congress AAP BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy