ফাইল চিত্র।
দু’মাসের মধ্যেই উলটপুরাণ!
উদয়পুরের চিন্তন শিবিরের শেষে ১৫ মে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক দলগুলি লড়াই করতে পারবে না। কারণ, এটা বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে কংগ্রেসের মতাদর্শের লড়াই। আঞ্চলিক দলগুলির কোনও মতাদর্শই নেই।
দু’মাস পরে, আজ কংগ্রেস তার ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় যোগ দেওয়ার জন্য ধর্মনিরপেক্ষ আঞ্চলিক দলগুলির কাছেও আবেদন জানাল।
আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু এই ভারত জোড়ো যাত্রা-কে সামনে রেখেই গোটা দেশে কংগ্রেস ফের ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। রাহুল গান্ধীকে নতুন করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ করে তোলার চেষ্টা হবে। আজ কংগ্রেস জানিয়েছে, কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার ‘ভারত জোড়ো’ পদযাত্রা হবে। ১২টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে এই পদযাত্রা যাবে। পশ্চিমবঙ্গ অবশ্য এর মধ্যে নেই। যাত্রা চলবে ১৪৮ দিন ধরে। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ মাস। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা-সহ কংগ্রেসের ‘কোর গ্রুপ’ এর নেতৃত্বে থাকবে।
আজ ভারত জোড়ো-র প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকের পরে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘নতুন হল, আমরা সমান মতাদর্শের সমস্ত রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, সবাই এককাট্টা হয়ে ভারত জোড়ো যাত্রায় শামিল হোন।’’ বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে কংগ্রেস আসলে নিজের হাতে বিরোধী শিবিরের রাশ তুলে নিতে চাইছেন কি না, সে প্রশ্নও উঠেছে। তা মানতে না চাইলেও কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের জবাব, ‘‘যাঁরা মনে করেন, গণতন্ত্র বিপদে পড়েছে, সামাজিক ঐক্য সমস্যার মুখে, তাঁদের এই যাত্রায় যোগ দিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’’ সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে পুরো ভারত জোড়ো যাত্রাই পায়ে হেঁটে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কংগ্রেস। প্রতিদিন ২৫ কিলোমিটার পথ হাঁটা হবে। ১২টি রাজ্যের প্রতিটিতে একটি করে জনসভা হবে। বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রার সময় দশেরা, দীপাবলি ও অন্য উৎসব পড়লে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা তাতেও অংশ নেবেন।
ওই একই সময়ে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন ও সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। আগের ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলা হবে। আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে কথা হয়। কংগ্রেস নেতাদের দাবি, সভাপতি নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy