Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Congress

বিরোধী জোটের চেয়ে দলের ঐক্য চিন্তা কংগ্রেসের

কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলছেন, “প্রথমে ভারত জোড়ো যাত্রা, তার পরে এই প্লেনারি অধিবেশন, আমরা যথেষ্ট প্রাণশক্তি নিয়ে ফিরছি। কংগ্রেসের কর্মীরা উজ্জীবিত।”

A Photograph representing Congress

২০২৩-এ আধ ডজন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দলের মধ্যে ঐক্য অনেক বেশি জরুরি বলে কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করছে। ফাইল ছবি।

প্রেমাংশু চৌধুরী
রায়পুর শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৬
Share: Save:

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী ঐক্য পরের কথা। তার আগে ২০২৩-এ আধ ডজন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দলের মধ্যে ঐক্য অনেক বেশি জরুরি বলে কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করছে।

নয়া রায়পুরে প্লেনারি অধিবেশন শেষ করে কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা বলছেন, কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানায় আসন্ন বিধানসভা ভোটে দলের নেতারা ‘যদি’ নিজেদের মধ্যে বিবাদ ভুলে এককাট্টা হয়ে লড়তে পারেন এবং এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কর্নাটক-সহ অন্তত তিনটি রাজ্যে ‘যদি’ কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারে, তা হলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ছবিটাই বদলে যাবে। তখন বিরোধী দলগুলি এমনিতেই কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়াবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এতগুলো ‘যদি’-র কথা ছত্তীসগঢ়ের মহানদীতেই ডুবে যাবে না তো? কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলছেন, “প্রথমে ভারত জোড়ো যাত্রা, তার পরে এই প্লেনারি অধিবেশন, আমরা যথেষ্ট প্রাণশক্তি নিয়ে ফিরছি। কংগ্রেসের কর্মীরা উজ্জীবিত।” তাঁর মতে, এখন দলের নেতাদের এককাট্টা হয়ে কাজ করতে হবে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

তা কি সম্ভব হবে? রাজস্থানে অশোক গহলৌত বনাম সচিন পাইলট বিবাদ অব্যাহত। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে ইচ্ছুক দেখে বাকিরা ক্ষুব্ধ। তেলঙ্গানায় কংগ্রেস দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত। ছত্তীসগঢ়ে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের সিংহাসন আপাতত নিষ্কণ্টক। কিন্তু বিধানসভা ভোটে আসন কমলেই অন্য নেতারা দাঁত-নখ বার করে ফেলবেন। আর কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়া ও ডি কে শিবকুমার ভোট জয়ের সঙ্গে একে অন্যের শক্তিক্ষয়ের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন।

মহাধিবেশনের মঞ্চ থেকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা ঠিক এই দিকেই ইশারা করে বলেছিলেন, “এখন আমাদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খা, মান-অভিমান দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।” রায়পুর অধিবেশনের সিদ্ধান্ত বা ‘রায়পুর হুঙ্কার’-এও দলের নেতা-কর্মীদের ‘সম্পূর্ণ ঐক্য’, ‘অনুশাসন’ ও ‘পারস্পরিক সহযোগিতা’-য় জোর দেওয়া হয়েছে। মহাধিবেশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিক বলেছেন, “চলতি বছরে কর্নাটক, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান, তেলঙ্গানায় গুরুত্বপূর্ণ ভোট। দলের নেতা-কর্মীদের অনুশাসন মেনে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এই রাজ্যগুলির ভোটের ফল ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের সুর বেধে দেবে।”

কী সেই সুর? গত কাল রায়পুরের রাজ্যোৎসব ময়দানে প্লেনারি অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছে। ভাঙা হাটে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলছেন, “রায়পুরের ঘোষণায় আমরা বলেছি, কংগ্রেস সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে কাজ করতে তৈরি। আঞ্চলিক দলগুলি যদি আসন্ন বিধানসভা ভোটের ফলাফল দেখে মনে করে, কংগ্রেস লোকসভায় দেড়শোর বেশি আসন পেতে পারে, তা হলে তারা এমনিতেই বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মেনে নেবে। বিরোধী ঐক্য নিশ্চিত করতে প্রথমে দলীয় ঐক্য নিশ্চিত করা জরুরি। সেটাই খড়্গে সাহেবের চ্যালেঞ্জ।”

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Lok Sabha Election 2024 Unity
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE