সাংসদ পদ হারানোর পর প্রথম বার কেরলের ওয়েনাড়ে গেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হলেও লড়াইয়ের পথ থেকে সরানো যাবে না। মঙ্গলবার তাঁর সদ্য ‘পূর্বতন’ লোকসভা কেন্দ্র কেরলের ওয়েনাড়ে গিয়ে এই বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভিড়ে ঠাসা জনসভায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে হাজির ছিলেন তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কাও।
রাহুল মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সাংসদ পদ শুধু মাত্র একটা শিরোপা। তা না থাকলেও আমার কিছু যায় আসে না। ওয়েনাড়ের মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না। আমার অবাক লাগছে, বিজেপি এখনও বুঝতে পারছে না যে, তারা আমাদের ভয় দেখাতে পারেনি।’’ অন্য দিকে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমার দাদা একটা প্রশ্ন করেছিলেন। বিজেপির কাছে তার উত্তর ছিল না। তাই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হল। প্রধানমন্ত্রী-সহ গোটা মন্ত্রিসভা আদানিকে বাঁচাতে ময়দানে নেমে পড়ল।’’
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদী পদবি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই মন্তব্য নিয়ে গুজরাতের সুরাতের আদালতে মানহানির মামলা করেন এক বিজেপি বিধায়ক। গত ২৩ মার্চ আদালত সেই মামলার রায় দেয়। রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সেই সঙ্গে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য ৩০ দিন সময় দেন বিচারক। কিন্তু লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা পরের দিনই রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করে দেন। ফলে ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্র সাংসদ শূন্য হয়ে পড়েছে। আগামিদিনে সেখানে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন করাতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সেই উপনির্বাচনে লড়তে পারবেন না রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy