এপ্রিলেই ওয়েনাড় যাওয়ার কথা রাহুল গান্ধীর। — ফাইল ছবি।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়েনাড় যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, আগামী ১১ এপ্রিল তিনি নিজের পূর্বতন লোকসভা কেন্দ্রে যাবেন। তবে তিনি সেখানে জনসভা করবেন কি না, তা এখনও স্থির হয়নি। কেরল প্রদেশ কংগ্রেসের চলতি বৈঠকেই তা চূড়ান্ত হওয়ার কথা।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদী পদবি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই মন্তব্য নিয়ে গুজরাতের সুরাতের আদালতে মানহানির মামলা করেন এক বিজেপি বিধায়ক। গত ২৩ মার্চ আদালত সেই মামলার রায় দেয়। রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়। ফলে ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্র সাংসদ শূন্য হয়ে পড়ে। আগামিদিনে সেখানে উপনির্বাচন করাতে পারে নির্বাচন কমিশন। এ বার একদা নিজের ওয়েনাড় কেন্দ্রেই যাচ্ছেন রাহুল। সূত্রের খবর, আগামী ১১ এপ্রিল নিজের প্রাক্তন কেন্দ্রে পৌঁছবেন ‘ডিসকোয়ালিফায়েড’ সাংসদ রাহুল।
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে শেষ বার ওয়েনাড় গিয়েছিলেন রাহুল। তার পর এপ্রিলে আবার তিনি সেখানে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে। জেলা কংগ্রেস কমিটির নথি তুলে ধরে এমনই দাবি করেছেন এক কংগ্রেস নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নেতা বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী আগামী ১১ এপ্রিল ওয়েনাড় আসতে পারেন।’’ সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের চলতি বৈঠকেই রাহুলের সফর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। তার পর তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস।
গত ২৯ মার্চ কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় ওয়েনাড়ে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সাফ জানিয়েছিলেন, আদালত রাহুলকে উচ্চতর আদালতে আবেদন করার জন্য ৩০ দিন সময় মঞ্জুর করেছে। তাই ওয়েনাড়ে ভোট ঘোষণা নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করার কথা ভাবছেন না তাঁরা। প্রসঙ্গত, যে কোনও কেন্দ্রের জনপ্রতিনিধি না থাকলে ৬ মাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন করানোই রীতি।
গত সোমবার সুরাতের আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাতেরই একটি দায়রা আদালতে আবেদন করেন। সেই আদালত তাঁকে জামিন দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy