গোয়ায় মনোহর পর্রীকরকে সরকার গড়তে দেওয়া নিয়ে নতুন বিতর্ক বাঁধিয়ে বসলেন সে রাজ্যের রাজ্যপাল মৃদুলা সিন্হা। অরুণ জেটলির সঙ্গে পরামর্শ করেই বিজেপিকে সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন— রাজ্যপালের এমন মন্তব্য কংগ্রেসের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। গোয়ায় সরকার গড়তে কেন্দ্রের নাক গলানোর সমালোচনা করে রাজ্যসভায় প্রস্তাব আনতে উদ্যোগী হয়েছে সনিয়া গাঁধীর দল। এ জন্য বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এত টুকুই নয়, নিতিন গডকড়ীর নেতৃত্বে যে ভাবে গোয়ায় সমর্থন জোগাড় করেছে বিজেপি, তা নিয়েও নতুন বিতর্ক তুলেছে কংগ্রেস।
এক সাক্ষাৎকারে গোয়ার রাজ্যপাল বলেছেন, তিনি ভাবতেই পারেননি বিজেপি সেখানে সরকার গড়বে। কংগ্রেসের জন্য তিনি অপেক্ষা করে ছিলেন, তবে তারা রাজভবনে আসেনি। কংগ্রেস ছাড়া বাকি সকলের সমর্থন নিয়ে বিজেপি দ্রুত তাঁর কাছে আসে। তার পরেই রাত সাড়ে ন’টায় তিনি ফোন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে। তাঁকে জেটলি পরামর্শ দেন, যে দল সংখ্যা নিয়ে এসেছে, তাদের দাবিই বিবেচনা করা যেতে পারে। এতেই বিষয়টির ‘নিষ্পত্তি’ হয় বলে মন্তব্য রাজ্যপালের।
আরও পড়ুন: গগৈয়ের ‘স্বীকারোক্তি’, বিপাকে কংগ্রেস
দিগ্বিজয় পরে অভিযোগ এনেছেন, নিতিন গডকড়ী অনৈতিক পথে অন্য দলের বিধায়কদের নিজেদের পক্ষে টেনেছেন। তাঁর দাবি, কিছু শর্ত মেনে নেওয়ার পরে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির নেতা বিজয় সরদেশাই কংগ্রেসকে সমর্থন করতে রাজি হয়েছিলেন। ঠিক হয়, পরের দিন (১২ মার্চ) রাজভবনে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাবে কংগ্রেস। কিন্তু এর মধ্যেই সরদেশাইয়ের সঙ্গে নিতিনের ‘রফা’ হয়ে যায়। তবে কংগ্রেসেরই অনেকেই মনে করছেন, আসলে এই সব বিষয় সামনে নিয়ে এসে দিগ্বিজয় সিংহ গোয়ায় নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। কংগ্রেসের গোয়ার বিধায়করা একে একে রাহুল গাঁধী-দিগ্বিজয় সিংহকে দুষে দল ছাড়ছেন। দিগ্বিজয় বলেন, তাঁকে ‘ভিলেন’ বানানো ঠিক নয়। গোয়ায় কিছু কংগ্রেস নেতা দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। গোয়ায় রাজ্যপালকে ঘিরে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে দিগ্বিজয় বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ না করে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন কী ভাবে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy