পর পর নারী নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ওড়িশায়। এ বার এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীকে হোটেলে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে। এ নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিজেপিশাসিত ওই রাজ্যে।
অভিযুক্ত ওড়িশার এনএসইউআই সভাপতি। ছাত্রনেতা হিসাবে যথেষ্ট পরিচিত। পুলিশ সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বরের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে কংগ্রেসের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
‘নির্যাতিতা’র দাবি, অভিযুক্ত তাঁর পূর্বপরিচিত। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে একটি হোটেলে নৈশভোজে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার সময় তাঁকে ঠান্ডা পানীয় দিয়েছিলেন ছাত্রনেতা। তাঁর অনুমান, পানীয়ে কিছু মেশানো ছিল। কারণ, ওই পানীয় পানের কিছু ক্ষণ পরে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। সেই সময় তাঁকে হোটেলের ঘরে ধর্ষণ করেন কংগ্রেসের ছাত্রনেতা।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে তারা। মহিলার দাবি, ঘটনাটি মার্চ মাসের। পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে রবিবার। সোমবারই ধৃতকে আদালতে হাজির করানো হবে। ভুবনেশ্বরের ডিসিপি জগমোহন মিনা বলেন, ‘‘দুপুরেই ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। তদন্ত চলছে।’’
আরও পড়ুন:
গত শনিবার বন্ধুর বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিল বছর পনেরোর এক ছাত্রী। হঠাৎ তার রাস্তা আটকে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান তিন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরী হাসপাতালে। তার আগে গত ১২ জুলাই ওড়িশার বালেশ্বরের ফকির মোহন কলেজের এক ছাত্রী অধ্যক্ষের ঘরের সামনে নিজের গায়ে আগুন ধরান। অভিযোগ, বার বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলেও কোনও পদক্ষেপ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই সমস্ত ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বিজেপিশাসিত ওড়িশায় নারীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। বিজেপি সরকারের ধারাবাহিক সমালোচনা করে আসছে কংগ্রেস। এ বার তাদের দলের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
(ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় যত ক্ষণ না অভিযুক্তকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর নাম-পরিচয় প্রকাশে আইনি বাধা থাকে। সেই কারণে আনন্দবাজার ডট কম কসবার ধর্ষণকাণ্ডে তিন অভিযুক্তের নাম এবং ছবি প্রকাশে বিরত থাকছে)