আগামী বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেশের প্রায় ২.৬৩ লক্ষ পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের উদ্যোগে ‘সংবিধান দিবস’ পালন করা হবে। স্থানীয় ভাষায় পাঠ করা হবে সংবিধানের প্রস্তাবনা। সোমবার পঞ্চায়েত মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
‘সংবিধান দিবস’ সংক্রান্ত সরকারি কর্মসূচি সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত চলবে বলে সরকার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ওই কর্মসূচি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে পঞ্চায়েত মন্ত্রকের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। অন্য দিকে, দেশের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের উদ্যোগে বুধবারই পালন করা হবে ‘সংবিধান বাঁচাও দিবস’। তুলে ধরা হবে মোদী জমানায় ‘সংবিধানের বিপন্নতা’।
আরও পড়ুন:
১৯৪৯-এর ২৬ নভেম্বর সংবিধানের খসড়া গৃহীত হয়েছিল। সংবিধান সভার সভাপতি হিসেবে তাতে সই করেছিলেন বিআর অম্বেডকর। এর দু’মাস পরে, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে সংবিধান কার্যকর হয়। ওই দিনটিতেই প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপন করা হয়। বাতিল হয়ে যায় ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকারের বিদায়বেলায় তৈরি ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যাক্ট’। চলতি বছর সংবিধানের ৭৫তম বর্ষ উপলক্ষে সংসদে বিশদ বিতর্ক হয়েছে সংবিধান প্রসঙ্গে। মোদীর দল বিজেপি ১১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি ‘সংবিধান গৌরব অভিযান’ কর্মসূচি পালন করেছে। অন্য দিকে, কংগ্রেস, বাম-সহ কয়েকটি বিরোধীদল স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনাকে স্মরণ করে মোদী সরকারের জমানায় সংবিধানিক ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে সোমবার কর্নাটকে জানান, বুধবার দেশের প্রতিটি রাজ্যে পালিত হবে ‘সংবিধান বাঁচাও দিবস’।