সভাপতি পদে রাহুল গাঁধীকে চেয়ে জোরালো সওয়াল করলেন অশোক গহলৌত। —ফাইল ছবি।
কংগ্রেসের দলীয় নির্বাচন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। সেই আবহে দলের সভাপতি পদে আরও এক বার রাহুল গাঁধীকে চেয়ে জোরালো সওয়াল করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। দাবি করলেন, কংগ্রেস এখনও সর্বসম্মত ভাবে সভাপতি পদে রাহুল গাঁধীকেই চায়।
কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটি জানিয়েছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। সেই আবহে গহলৌতের মন্তব্য, কংগ্রেস কর্মীদের আবেগের কথা ভেবে রাহুলের আরও এক বার সভাপতি পদে বসা উচিত। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী দলের সভাপতি না হলে গোটা দেশের কংগ্রেসকর্মীরা হতাশ হবেন। তাঁরা ঘরে বসে যাবেন। সেই ফল ভুগব আমরা। দেশের সাধারণ কংগ্রেসকর্মীদের কথা ভেবে রাহুলের নিজে থেকেই সভাপতি পদ গ্রহণ করা উচিত।’’
গহলৌতের দাবি, দলের অন্দরেও রাহুলকে সভাপতি পদে বসানোর দাবি উঠেছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাহুলকে কংগ্রেস সভাপতি পদে চেয়ে দলের অন্দরে সর্বসম্মত মতামত গড়ে উঠেছে। তাই আমার মতে, ওঁর এই পদে বসা উচিত। এটা গাঁধী বা গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে নিয়ে প্রশ্ন নয়। এটা একটা সংগঠনের কাজ। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয় নয়।’’
এমনিতেই গহলৌতের পরিচিতি গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে। তাঁর কথায়, ‘‘শেষ ৩২ বছরে গাঁধী পরিবারের কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হননি। তা হলে মোদীজি এই পরিবারকে এত ভয় পান কেন? কেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, গত ৭৫ বছরে দেশে কিছু হয়নি। কেন সবাই কংগ্রেসকে আক্রমণ করে? কারণ স্বাধীনতার আগে এবং ৭৫ বছর পরেও কংগ্রেসের ডিএনএ একই রয়ে গিয়েছে। সব ধর্ম আর শ্রেণীকে একসঙ্গে নিয়ে পথ চলে কংগ্রেস।’’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর হারের দায় নিয়ে সভাপতি পদ থেকে সরে গিয়েছিলেন রাহুল। অন্তর্বর্তী সভানেত্রী পদে বসেছিলেন সনিয়া গাঁধী। তার পর স্থায়ী সভাপতির দাবিতে মাঝেমধ্যেই ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে কংগ্রেসে। ঘনিষ্ঠ বৃত্তের দাবি অস্বীকার করে রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন, সভাপতি পদে তিনি বসবেন না। গাঁধী পরিবারের কেউ বসুক, তা-ও চান না তিনি। আপাতত দলীয় নির্বাচনের পথেই হাঁটছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy