জন আক্রোশ র্যালিতে রবিবার রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই।
লক্ষ্য ২০১৯। আর রবিবারই নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানের ‘জন আক্রোশ’ র্যালি থেকে সেই লক্ষ্যভেদের প্রস্তুতি যেন শুরু করে ফেললেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “২০১৯-এ কংগ্রেস জিতছেই! কংগ্রেস তার শক্তি দেখিয়ে দেবে।” রাহুলের মতে, “নরেন্দ্র মোদীর মুখোশ খুলে গিয়েছে। মানুষ বুঝে গিয়েছেন তাঁর কথা আর কাজে কোনও মিল নেই।” এই জনসভায় রাহুল ছাড়া বক্তব্য রাখেন মননোহন সিংহ, সনিয়া গাঁধীও।
এ দিন রাহুলের বক্তব্যে একে একে উঠে এসেছে দুর্নীতি, কালো টাকা, নারী সুরক্ষা, অর্থনীতি, নীরব মোদীর মতো প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, মোদী যেখানেই যান দুর্নীতি দূর করার প্রসঙ্গ তোলেন, কিন্তু কাজে কতটা কী করেন তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।
মোদীর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে রাহুলের বক্তৃতায় এসেছে কৃষকদের দুরবস্থার প্রসঙ্গও। বলেন, “নরেন্দ্র মোদী বড় বড় শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করে দেন, কিন্তু কৃষকদের এক পয়সাও ছাড়েন না।... দেশে একের পর এক কৃষক আত্মহত্যা করছেন অথচ মোদী সে বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না।... শুধু তাই নয়, নীরব মোদী যে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল তা নিয়েও দেশের ‘চৌকিদার’ চুপ।”
আরও পড়ুন: দেশের সব গ্রামে পৌঁছে গেল বিদ্যুৎ, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: ‘ঘরোয়া’ বৈঠকের শেষে শান্তির সাফল্য মোদী ও শি-র
উন্নাও এবং কাঠুয়া কাণ্ড নিয়েও নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন রাহুল। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, কাঠুয়া, উন্নাও দেখিয়ে দিয়েছে দেশে নারীদের সুরক্ষার হালটা কী রকম! আর এই নারী সুরক্ষা নিয়েই মোদীকে বিদেশের মাটিতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। মোদী জমানায় দলিতদের অবস্থাও যে শোচনীয়, সে প্রসঙ্গও টেনে আনেন কংগ্রেস সভাপতি। বলেন, “রাজ্যে রাজ্যে দলিতদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, অথচ এ বিষয়েও মোদী চুপ!”
এ দিন মনমোহন সিংহ এবং সনিয়া গাঁধীর নিশানাতেও ছিলেন মোদী। মনমোহন বলেন, “মোদী দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূরণ করেননি।” মোদীর জমানাতেই দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে, জ্বালানির দাম বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মনমোহন ও রাহুলের মতো একই সুর শোনা গিয়েছে সনিয়ার গলাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy