এই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
মঞ্চের ডান দিকে প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করছেন। বাঁ দিকে দেখা গেল, ত্রিপুরার যুবকল্যাণ মন্ত্রী হাত রাখলেন সমাজকল্যাণ দফতরের মহিলা মন্ত্রীর কোমরে। মহিলা হাতটা সরিয়ে দিলেন।
আগরতলা বিবেকানন্দ ময়দানে গত কালের এই ঘটনা টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছেন গোটা দেশ। ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরাতেও। বিতর্ক বেধেছে, এর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায়। হোয়াটসঅ্যাপে রাজ্যবাসীর হাতে হাতে ঘুরছে ভিডিয়ো। চলছে রঙ্গ-রসিকতা-বিদ্রুপ। পক্ষে-বিপক্ষে মুখ খুলেছেন নেতা-মন্ত্রীরাও।
যাঁকে নিয়ে বিতর্ক, সেই যুবকল্যাণ মন্ত্রী মনোজকান্তি দেবকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যারাই ওই ছবি বা ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকুক, এটা খুবই নিম্নমানের চিন্তাধারা। মঞ্চে আমার সামনে ছিল বলে ওঁকে আমি পাশে সরিয়ে দিচ্ছিলাম। এত লোকের সামনে হয়েছে ঘটনাটি। কোনও লুকোনো ব্যাপার ছিল না।’’
বিষয়টিকে আমল দিচ্ছেন না সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। তাঁর কথায়, ‘‘কত মানুষ কী বলবে, তাতে কান দিয়ে কী হবে?’’ সান্ত্বনা এর পরে ঘটনাটি ব্যাখ্যা করতে বলেন, ‘‘এটা কোনও বিষয়ই না। যদি এই ধরনের কিছু বিষয় থাকত, তা হলে তিনি এত মানুষের সামনে খোলামেলা কিছু করতেন না। আসলে তিনি আমাকে বলেছিলেন, একটু সরে যেতে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বার করার জন্য মানুষ কত কিছু বলবে। তা নিয়ে এত হইচই করার কী আছে!’’
তবে বিতর্ক থামছে না এতে। মুখ খুলেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারাও। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেতা বিজন ধর যেমন বললেন, ‘‘এই রকম যদি হয়ে থাকে তা হলে অশোভন হয়েছে। বিজেপির তরফেই এর প্রতিবাদ করা উচিত।’’ তাঁর মতে, ‘‘নিজের স্ত্রী হলেও জনসমক্ষে এ ভাবে পারিবারিক সখ্যের প্রতিফলন ঘটানো বেআইনি। এটাও তা-ই।’’ বিষয়টিকে ‘দৃষ্টিকটু ও অশ্লীল’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। দিল্লি থেকে ফোনে বলেছেন, ‘‘আর কী বলব! খারাপই লাগল বিষয়টি।’’ এ নিয়ে আগামী দিনে কোনও ধরনের প্রতিবাদ করা যায় কি না, তা দিল্লি থেকে এসে ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন বীরজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy