সুস্থ থাকতে নিয়মিত ভাল ঘুমের প্রয়োজন। আবার হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ঘুম। কিন্তু ঘুমই যেন উধাও হচ্ছে দু’চোখের পাতা থেকে। শরীর যতই ক্লান্ত হোক, রাতে বিছানায় শোয়ার পরে ঘুম আসতেই চায় না। বই পড়ে, গান শুনে বা টিভি দেখে সারা রাত কাটিয়ে দেন। অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন ঘুমের ওষুধেও। এই অভ্যাস ছাড়ানো সহজ নয়। তবে শরীরকে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করাতে হবে অন্য ভাবে। অনিদ্রা বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা থাকলে ঘুমের সমস্যা হবেই। তার জন্য ওষুধ নয়, সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকরী পদ্ধতি হল সহজ কিছু স্ট্রেচিং ও যোগাসন।
কমবয়সিরা ঘুম ভেঙে গেলে মোবাইল-ল্যাপটপ খুলে বসে পড়েন। প্রৌঢ়-বৃদ্ধেরাও যে আজকাল সেই পন্থা অনুসরণ করছেন, সেটা বলাই বাহুল্য। মোবাইলের নীল আলোয় ঘুমের আরও দফারফা হচ্ছে। এতে কেবল শরীর ও মনের ক্লান্তি বাড়ছে তা নয়, ক্ষতি হচ্ছে হার্টেরও। কম ঘুমের সমস্যা যে ডায়াবিটিসেরও কারণ হতে পারে, তা-ও দাবি করেছেন অনেক গবেষকই। দীর্ঘ দিন অনিদ্রার ফলে দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেশি হতে পারে। তার ফলে অনিময়িত প্রদাহ তৈরি হতে পারে। যাঁদের অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে কম ঘুম হলে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। রক্তচাপও বেড়ে যেতে পারে। এর থেকে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন:
অনিদ্রা দূর হবে সহজ কিছু ব্যায়ামে
বিপরীত করণী
চিত হয়ে শুয়ে দু’পা একত্রে সোজা করে মাটি থেকে উপরে তুলতে চেষ্টা করুন। হাতে ভর দিয়ে কোমর ধীরে ধীরে উপর দিকে তুলতে চেষ্টা করুন। শরীরের ভঙ্গি অনেকটা সর্বাঙ্গাসনের মতো হবে। তবে দুই পা ৯০ ডিগ্রিতে না রেখে সামান্য হেলিয়ে রাখতে হবে। শুরুতে দেওয়ালে ভর দিয়ে আসনটি অভ্যাস করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে কোমর থেকে পা উপর দিকে তুলে দেওয়ালে রাখতে হবে।
মার্জারাসন
প্রথমে মাটিতে দুই পা এবং হাতের উপর ভর দিয়ে বিড়ালের মতো ভঙ্গি করুন। পিঠ উঁচু করে মাথা ঝুঁকিয়ে শ্বাস নিন, আবার পেট ঢুকিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এই আসন অভ্যাস করুন ৫ বার করে অন্ততপক্ষে ৫ মিনিট।
মালাসন
হাঁটু মুড়ে উবু হয়ে বসুন। পিঠ যেন টান টান থাকে। দু’পা যথা সম্ভব কাছাকাছি রাখুন। হাত দু’টি নমস্কারের ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করুন। প্রণাম করার ভঙ্গিতে দু’টি হাত এমন ভাবেই রাখবেন যেন দু’টি কনুই দুই হাঁটু স্পর্শ করতে পারে। টানা ৩-৪ মিনিট এই আসনে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।