অসম-অরুণাচল থেকে কুড়িটি হাতি গুজরাতের জামনগরে থাকা অম্বানীদের চিড়িয়াখানায় পাঠানোর তোড়জোড় ঘিরে চলছে রাজনৈতিক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।
হাতিগুলি ধরা হয়েছিল অসমে। জামনগরের অম্বানীদের তৈরি পশুদের পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘বনতারা’ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হাতিগুলির আসল আস্তানা অরুণাচলে। ১০টি পুরুষ, ৮টি স্ত্রী, একটি কিশোর এবং একটি শাবক-সহ মোট ২০টি হাতিকে স্বাগত জানাতে তৈরি বনতারা। তাদের দাবি, হাতিগুলি মোটেই আগের আস্তানায় ভাল ছিল না। বরং আধপেটা খেয়ে বনের কাঠ টানার মতো বিভিন্ন ভারী কাজ করতে হচ্ছিল তাদের। কয়েকটি হাতি আহতও ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগ করা উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সুপারিশক্রমেই হাতিগুলিকে পুনর্বাসনের জন্য বনতারায় আনা হচ্ছে। সেখানে তারা শৃঙ্খলমুক্ত জীবন, চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত খাদ্য পাবে। অরুণাচলের বন দফতর জানায়, হাতিদের দিয়ে কাঠ বহন করানো নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন হাতিগুলির ভরণপোষণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তাই হাতিদের মঙ্গলের জন্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের নিয়ম মেনেই তাদের বনতারায় পাঠানো হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, জামনগরে নেওয়া হাতিগুলির সঙ্গে অসমের কোনও যোগ নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)