ফাইল চিত্র।
‘‘রাহুল গান্ধী আদৌ রাজীব গান্ধীর ছেলে কি না, আমরা তো এর প্রমাণ চাই না।’’ উত্তরাখণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ ঠিক এই ভাষাতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ঠুকলেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস কখনও সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রমাণ দাবি করে, কখনও করোনা টিকার উদ্ভাবন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে। কিন্তু এগুলি প্রমাণ চাইবার ব্যাপার নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা কি কখনও রাজীব গান্ধীর ছেলে যে রাহুল গান্ধী, এর প্রমাণ চাই?’’
হিমন্ত আজ রাহুলের ‘ইউনিয়ন অব স্টেটস’ মন্তব্যেরও সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, রাহুল দু’দিন আগে লোকসভায় ভারতকে ‘ইউনিয়ন অব স্টেটস’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে, ভারতের অঙ্গরাজ্যগুলি তাদের ইচ্ছায় যে কোনও সময় দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। তাদের মর্জিতে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে চলে যেতে পারে। কিন্তু ভারতের সংবিধানে এমন কথার উল্লেখ নেই। হিমন্ত কংগ্রেসকে ১৯৪৭-এর দেশ বিভাজনের জন্য দায়ী করে বলেন, ‘‘আরও একটা বিভাজনের জন্য এঁরা ষড়যন্ত্রে মেতেছেন।’’
হিজাব বিতর্কের জন্যও তিনি তাঁর পুরনো দলকে চাঁছাছোলা আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘জ্ঞানের মন্দিরে এরাই ধর্মকে জুড়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্ট, হিজাব মামলায় আইনজীবী হচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। এরাই পরীক্ষার সময় পড়ার বদলে হিজাবে জড়িয়ে দিয়েছে মুসলিম পড়ুয়াদের। আসলে এরা মুসলমানদের মানুষ হিসেবে নয়, ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে দেখতেই অভ্যস্ত।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেস কোনও কালে মুসলিমদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে বলেনি। মাদ্রাসা খুলে দিয়েছে। এখন বলছে মুসলিম ইউনিভার্সিটি খুলবে।’’
রাজীব গান্ধীকে টেনে হিমন্তের বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি৷ তাদের কথায়, ‘‘এমন রুচিহীন মন্তব্য এক জন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আশা করা যায় না৷ তিনি কংগ্রেস-বিজেপি নির্বিশেষে গোটা অসমের সম্মানহানি করেছেন৷’’
কংগ্রেস সাংসদ মানিকম টেগোরের বক্তব্য, ‘‘আমি হিমন্তের ভাষার নিন্দা করছি। তিনি যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তা যে কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁকে ক্ষমা চাইতেই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy