প্রায় দু’সপ্তাহ আগে তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এসেছিল। তখন থেকেই তামিলনাড়ুর কৃষিমন্ত্রী আর দোরাইক্কান্নু ভর্তি ছিলেন চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শনিবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হল। ৭২ বছরের এডিএমকে নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তামিল রাজনৈতিক মহলে।
সরকারি সূত্রের খবর, গত ১৩ অক্টোবর দোরাইক্কান্নুর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মেলে। তাঁর শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও ছিল। চেন্নাইয়ের কাবেরী হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। শনিবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর শুনে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানীস্বামী হাসপাতালে গিয়ে দোরাইক্কান্নুর খোঁজ নেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, করোনার প্রাথমিক উপসর্গ থেকে মুক্ত হলেও মন্ত্রীর নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাঁর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। রবিবার হাসপাতালের ডিরেক্টের অরবিন্দন সেলভারাজ বলেন, ‘‘দোরাইকান্নুর ফুসফুসের ৯০ শতাংশ সংক্রমণের শিকার হয়েছিল। মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রভাব পড়েছিল। রক্ত সংবহনেও সমস্যা দেখা দেয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাত ১১টা ১৫-য় তিনি মারা যান।’’