Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in India

কোভিডে রাশ টানাই অগ্রাধিকার, ১ বছরের জন্য পিছতে পারে এনপিআর

চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ জুড়ে ২০২১-এর জনগণনা এবং তারই সঙ্গে এনপিআর-এর প্রথম পর্বের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

অতিমারির মোকাবিলায় গত মার্চে লকডাউন শুরু হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয় জনগণনা এবং এনপিআর। —ফাইল চিত্র।

অতিমারির মোকাবিলায় গত মার্চে লকডাউন শুরু হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয় জনগণনা এবং এনপিআর। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২০ ১৯:১৬
Share: Save:

দেশ জুড়ে করোনার গতি বেড়েই চলেছে। অতিমারির এই আবহে আগেই পিছিয়ে গিয়েছে জনগণনা এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনপিআর)-র কাজ। তবে তা হয়তো আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে এ নিয়ে ঘোষণা করা না হলেও প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই মুহূর্তে এনপিআর নয়, বরং কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করাই অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।

রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ওই শীর্ষ আধিকারিক বলেছেন, “এই মুহূর্তে (কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে) জনগণনার কর্মসূচি প্রয়োজনীয় নয়। ফলে এক বছরের জন্য যদি তা পিছিয়ে দেওয়া যায়, তাতে কোনও ক্ষতি হবে না।” যদিও একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনও সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ জুড়ে ২০২১-এর জনগণনা এবং তারই সঙ্গে এনপিআর-এর প্রথম পর্বের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে অতিমারির মোকাবিলায় গত মার্চে লকডাউন শুরু হলে তা অনির্দিষ্ট কালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। লকডাউন এবং তার পর আনলক পর্ব শুরু হলেও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় প্রতি দিনই বৃদ্ধি ঘটছে। এ দিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৫ লক্ষেও বেশি। ফলে এই আবহে এটা এক প্রকার নিশ্চিত যে, চলতি বছরে জনগণনা বা এনপিআর-এর কাজ হবে না। কারণ, ওই কাজে জড়িত ৩০ লক্ষেরও বেশি আধিকারিককে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশের একটি বড় অংশকে করোনার ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হবে, তা মনে করছে সরকার। ওই শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, “লক্ষ লক্ষ অফিসার প্রতিটি পরিবারের কাছে গিয়ে জনগণনার মতো বৃহৎ কর্মসূচি সম্পন্ন করা কাজে জড়িত থাকবেন। ফলে তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির দিকটা অবহেলা করা যায় না।” মোদী সরকারের আর এক শীর্ষ আধিকারিকেরও মতে, “কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এখনও বড় আশঙ্কা তৈরি করছে। এই মুহূর্তে সরকারের কাছে জনগণনা বা এনপিআর অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই।”

আরও পড়ুন: বাতাসে করোনাভাইরাস আছে কি? জানাবে রাশিয়ার যন্ত্র!

আরও পড়ুন: জলে ভাসছে হাসপাতালও, টানা বৃষ্টিতে মধ্যপ্রদেশে ভাঙল ২১ বছরের রেকর্ড, মৃত ৮​

আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান চিনের পুতুল’, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ইমরানের খোঁচার জবাবে জয়শঙ্কর​

জনগণনার সঙ্গে এনপিআর-এর তথ্য সংগ্রহ করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য বিরোধিতা করলেও তা শুরু করার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১১ সালে জনগণনার সময় গোটা দেশে প্রথম বার এনপিআর-এর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০১৫-তে খসড়া এনপিআরের নবীকরণ হয়। ২০২১ সালে জনগণনার সময়েও ফের এনপিআর নবীকরণের কাজ করার কথা ছিল। তবে করোনা-আবহে তা যে আরও এক বছরের জন্য পিছিয়ে যেতে পারে, তেমনটাই খবর কেন্দ্রীয় সরকারের অন্দরের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE