সুস্থ হওয়ার মাত্রা বেড়ে ৭৪.৯০ শতাংশ হয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ‘‘একটানা ঊর্ধ্বমুখী।’’ ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত দৈনিক সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল গড়ে ১৫,০১৮। ১৩ অগস্ট থেকে ১৯ অগস্ট পর্যন্ত সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৬০,৫৫৭ জন। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘‘লাগাতার করোনা-পরীক্ষার জন্যই এক দিকে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুহার কমছে।’’
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, টানা ছ’দিন রোজ আট লাখের উপরে টেস্ট করানো হয়েছে। দেশে মোট করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ৩.৫২ কোটি ছুঁয়েছে। দৈনিক পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার সংখ্যা অগস্টের প্রথম সপ্তাহে কমে গিয়ে ৯.৬৭ শতাংশ হয়েছিল। গত সপ্তাহে আরও কমে ৭.৬৭ শতাংশ হয়েছে। বর্তমানে সরকারের নীতিই হল— ‘টেস্ট, ট্র্যাক এবং ট্রিট’। অর্থাৎ পরীক্ষা করানো, রোগীকে চিহ্নিত করা এবং চিকিৎসা। দেশের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিগুলো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছে। দেশে সরকারি ল্যাব ৯৮৩। বেসরকারি ল্যাব রয়েছে ৫৩২টি। মোট ১৫১৫ ল্যাবে লাগাতার করোনা-পরীক্ষা চলছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কালই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার্স ঘোষণা করেছিল, ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আজ সরকারি ভাবে ঘোষণা করা হল সংখ্যাটা। ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ৯১২। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬,৭০৬। গোড়ার দিকে সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছতে ১১০ দিন সময় লেগেছিল। সেখানে ১০ লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র ৫৯ দিন। তবে সরকার মনে করিয়ে দিচ্ছে, সংক্রমণ যেমন ঊর্ধ্বমুখী, সুস্থ হওয়ার হারও তেমন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)