Advertisement
E-Paper

দিল্লিতে গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু! দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

সংক্রমণের উৎস বোঝা না-গেলে ধরা হয়, গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়েছে।

প্রথম পর্যায়ে বাণিজ্যনগরী মুম্বই এগিয়ে গেলেও লকডাউন শিথিল হতে দেখা যাচ্ছে, পাল্লা দিচ্ছে রাজধানীও।—ছবি পিটিআই।

প্রথম পর্যায়ে বাণিজ্যনগরী মুম্বই এগিয়ে গেলেও লকডাউন শিথিল হতে দেখা যাচ্ছে, পাল্লা দিচ্ছে রাজধানীও।—ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৪:৪৭
Share
Save

গোষ্ঠীতে সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে দিল্লিতে। আজ বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, ‘‘এটিই ‘গোষ্ঠী-সংক্রমণ’ কি না, তা বলবে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ সেটি একটি পরিভাষা।’’

সংক্রমণের উৎস বোঝা না-গেলে ধরা হয়, গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা রোজ ১০ হাজারের কাছাকাছি বাড়ছে, যাঁদের দশ শতাংশই দিল্লিবাসী। তবু গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মানতে নারাজ কেন্দ্র। জৈন কিন্তু গত কালই বলেছিলেন, দিল্লিতে রোজ যত নতুন রোগী মিলছে, তাঁদের অন্তত অর্ধেকের ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস বোঝা যাচ্ছে না।

সংক্রমণের নিরিখে প্রথম পর্যায়ে বাণিজ্যনগরী মুম্বই এগিয়ে গেলেও লকডাউন শিথিল হতে দেখা যাচ্ছে, পাল্লা দিচ্ছে রাজধানীও। গত দশ দিনে রোজ হাজারখানেকের বেশি রোগী বেড়েছে দিল্লিতে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১,৩০৯ জন— দেশে তৃতীয়। গত এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে আজ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, রাজধানীর সমস্ত হাসপাতালে দেশের সব প্রান্তের রোগীদের চিকিৎসা করানোর অধিকার বজায় থাকবে বলে উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজল যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা মেনে চলবে দিল্লি সরকার। আপ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে না। কারণ এখন রাজনৈতিক দলগুলি লড়াই করলে করোনা জিতে যাবে। রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ি যান কেজরীবাল। টুইটারে জানান, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

গত কাল দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া কিন্তু গোষ্ঠী-সংক্রমণের তত্ত্ব মানেননি। তবে বলেছিলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শুধু দিল্লিতে সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে, মুম্বইয়ে আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার গড় সাড়ে ১৩ দিন। দিল্লিতে ১২ দিন। মুম্বইয়ে সুস্থের হার ৪৪ শতাংশ হলেও দিল্লিতে তা ৮ শতাংশ। রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় নিভৃতবাস শিবির তৈরির জন্য স্টেডিয়াম, খেলার মাঠ, হল ও হোটেল ভাড়া করছে দিল্লি সরকার। আজ এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানান, অনেক দেশেই রোগী বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের স্টেডিয়ামে রাখা হয়েছিল। এখানেও তা ভাবা যেতে পারে। শুধুমাত্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকা করোনা রোগীদের হাসপাতালে রেখে এবং উপসর্গহীনদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার পক্ষে মত দেন তিনি। বর্তমান পরিকাঠামোয় সমস্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব নয় বলেই মত তাঁর। হোটেল-স্টেডিয়ামে রোগী রাখার পরিকল্পনা অবশ্য লকডাউনের শুরুতেই হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর করতে কেজরীবাল দেরি করলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। আজ বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির প্রশ্ন, এত দিনেও কেন স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বা হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি?

আরও পড়ুন: শরীরে তৈরি হচ্ছে করোনার অ্যান্টিবডি, দেশে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা এখন বেশি

আজ সীমানা সিল করেছে রাজস্থান। ওই রাজ্যের সঙ্গে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের সীমানা রয়েছে। তবে আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা চালু থাকছে।

আরও পড়ুন: করোনায় নমুনা পরীক্ষার কৌশল বদলের পরামর্শ

Coronavirus in India Delhi Community Transmission Coronavirus

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}