গোষ্ঠীতে সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে দিল্লিতে। আজ বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেছেন, ‘‘এটিই ‘গোষ্ঠী-সংক্রমণ’ কি না, তা বলবে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ সেটি একটি পরিভাষা।’’
সংক্রমণের উৎস বোঝা না-গেলে ধরা হয়, গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা রোজ ১০ হাজারের কাছাকাছি বাড়ছে, যাঁদের দশ শতাংশই দিল্লিবাসী। তবু গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে মানতে নারাজ কেন্দ্র। জৈন কিন্তু গত কালই বলেছিলেন, দিল্লিতে রোজ যত নতুন রোগী মিলছে, তাঁদের অন্তত অর্ধেকের ক্ষেত্রে সংক্রমণের উৎস বোঝা যাচ্ছে না।
সংক্রমণের নিরিখে প্রথম পর্যায়ে বাণিজ্যনগরী মুম্বই এগিয়ে গেলেও লকডাউন শিথিল হতে দেখা যাচ্ছে, পাল্লা দিচ্ছে রাজধানীও। গত দশ দিনে রোজ হাজারখানেকের বেশি রোগী বেড়েছে দিল্লিতে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১,৩০৯ জন— দেশে তৃতীয়। গত এক সপ্তাহে রোগী বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে আজ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, রাজধানীর সমস্ত হাসপাতালে দেশের সব প্রান্তের রোগীদের চিকিৎসা করানোর অধিকার বজায় থাকবে বলে উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজল যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা মেনে চলবে দিল্লি সরকার। আপ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে না। কারণ এখন রাজনৈতিক দলগুলি লড়াই করলে করোনা জিতে যাবে। রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়ি যান কেজরীবাল। টুইটারে জানান, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।