করোনা রোগীর ছুটি-নীতি ঘিরে প্রশ্ন উঠছিল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের ( আইসিএমআর) তরফে ব্যাখ্যা এল দিন তিনেক পরে। শুক্রবার ওই কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা জানিয়েছিল, উপসর্গহীন, হালকা, খুব হালকা এবং মাঝারি উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের হাসপাতাল থেকে ছাড়ার ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআরের (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারাইজ় চেন রিঅ্যাকশন) রিপোর্ট আর বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কতটা চিকিৎসাবিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
নতুন ছুটি-নীতির জেরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করেছিলেন কিছু চিকিৎসক। তাঁদের আশঙ্কা দূর করতে কেন এই সিদ্ধান্ত, সেই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে আইসিএমআর। ওই সংস্থা জানিয়েছে, রোগীর সুস্থতার মাপকাঠি হিসেবে বিভিন্ন দেশ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের চেয়ে উপসর্গের গতিবিধির উপরে জোর দিয়েছে। নতুন নীতিতে উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১০ দিন পরে হালকা, খুবই হালকা উপসর্গযুক্ত বা উপসর্গহীন আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা ছাড়া ছুটি দেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। উপসর্গ দেখা দেওয়ার ১০ দিন পরে মাঝারি মাপের করোনা লক্ষণযুক্ত রোগীদেরও নমুনা পরীক্ষা ছাড়া ছেড়ে দিতে বাধা নেই। শুধু ছুটি দেওয়ার আগের তিন দিন রোগীর যে কোনও উপসর্গ নেই, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সিভিয়ার কেসে আগের নির্দেশই বহাল রয়েছে।
সোমবার আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, আরটি-পিসিআরে পজ়িটিভ এলেও ১০ দিন পরে দেখা গিয়েছে, নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আক্রান্তের শরীরে ভাইরাল-লোডও যে দিন দশেকের মধ্যে কমে এসেছে, গবেষণায় তা ধরা পড়েছে। ওই সংস্থার বক্তব্য, সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক ও ভাইরোলজিস্টদের কাছে সুস্থতার মাপকাঠি ভিন্ন। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় না-থাকলে উপসর্গের উপরেই জোর দেওয়া উচিত। নতুন ছুটি-নীতির ফলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এমন কোনও প্রমাণ নেই।