Advertisement
E-Paper

নিজামউদ্দিন: প্রচারক-যোগ খোঁজাই এখন বড়  চ্যালেঞ্জ

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশ থেকে আসা প্রচারকদের অন্য রাজ্যেও প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাদাতা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৩
নিজামউদ্দিনের ধর্মীয় সভা খালি করা হচ্ছে। ছবি: এএফপি।

নিজামউদ্দিনের ধর্মীয় সভা খালি করা হচ্ছে। ছবি: এএফপি।

নিজামউদ্দিনের মসজিদে উপস্থিত আক্রান্তদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপি গোটা ঘটনার জন্য কেজরীবাল সরকারকে দায়ী করেছে। আপ নেতৃত্ব ওই কাজের দায় উদ্যোক্তা তবলিঘি জামাতের উপরে চাপিয়েছে। উদ্যোক্তাদের আবার যুক্তি, হঠাৎ করে প্রথমে ট্রেন বন্ধ, তার পর জনতা কার্ফু ও তার ঠিক পরেই লকডাউনের ঘোষণা হওয়ায় অনুষ্ঠানে উপস্থিতেরা আটকে পড়েন। ফি বছর দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ম প্রচারকেরা ওই মসজিদে জমায়েতে যোগ দিতে আসেন।

করোনা-ত্রাসের আবহে উদ্যোক্তারা কেন নিজে থেকেই তা বাতিলের ডাক দেননি, সে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি সরকার। উদ্যোক্তাদের পাল্টা দাবি, ওই অনুষ্ঠান বহু আগেই ঠিক করা থাকে। কেন্দ্রের উদ্বেগের আরও একটি কারণ আছে। স্বরাষ্ট্র সূত্রে খবর, ওই অনুষ্ঠানে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্তত ১৫৭ জনের খবর মিলছে না। ওই ব্যক্তিদের খুঁজতে সব ক’টি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশ থেকে আসা প্রচারকদের অন্য রাজ্যেও প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল। ওই প্রচারকেরা কত জনকে সংক্রমিত করেছেন, তা বার করাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।

আজ সাংবাদিক সম্মেলনে কেজরীবাল দাবি করেন, গোটা বিশ্বে যখন মানুষ সংক্রমণে মারা যাচ্ছেন, সমস্ত ধর্মীয় স্থান খাঁ খাঁ করছে, তখন ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের জমায়েতের মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করে নিয়মভঙ্গ করেছেন। ওই মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য দিল্লি পুলিশ ও দিল্লির উপ-রাজ্যপালের কাছে তদ্বির করেছে দিল্লি সরকার।

যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি মৌলানা ইউসুফ জানিয়েছেন, সরকার ‘জনতা কার্ফু’র ঘোষণা করতেই মসজিদ কর্তৃপক্ষ সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করে দেন। কিন্তু রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া ও তার পরে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় উপস্থিত ব্যক্তিরা নিজেদের রাজ্যে ফিরতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে তাঁরা যেখানে ছিলেন সেখানেই রয়ে যান। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের দাবি, লকডাউনের এক সপ্তাহ আগে থেকে সরকার ওই এলাকা খালি করার কথা বলছিল। মসজিদ কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, আগেই সরকারের কথা শোনা। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, যা হয়ে গিয়েছে, হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য, সংক্রমিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাঁরা যাঁদের সংস্পর্শে গিয়েছেন, তাঁদের খোঁজা।

Coronavirus Nizamuddin
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy