প্রতীকী ছবি।
করোনাবিধি মেনে চলা এবং একটি বিশেষ ফল খাওয়ার কারণে এখনও করোনাকে ঢুকতে দেয়নি তেলঙ্গানার ৩টি গ্রাম! সারা দেশ যখন হিমসিম খাচ্ছে আনুবীক্ষণিক এই পরজীবীকে রুখতে, সেখানে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের নাগালই পাচ্ছে না কোভিড-১৯। এর নেপথ্যে নাকি রয়েছে ওই গ্রামগুলিতে লভ্য বিশেষ একটি ফল। গ্রামবাসীদের দাবি, এই ফলই তাঁদের করোনা থেকে বাঁচিয়ে চলেছে।
তেলঙ্গানার নির্মল জেলার অন্তর্গত আদিবাসী অধ্যুষিত ৩টি গ্রাম। পেন্টামারি, ইপ্পাচার্মি এবং লক্ষ্মীনগর। গ্রামবাসীদের দাবি, এই ৩ গ্রামে এখনও পর্যন্ত একটিও করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট নেই। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, 'আম্বালি' নামে একটি ফল তাঁরা দিনে ৩ বার করে খান। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই ফলই নাকি তাঁদের রক্ষা করে আসছে। আম্বালি একটি আঞ্চলিক ফল। অনেকটা তেঁতুলের মতো দেখতে ফলটি স্বাদেও টক।
গ্রামবাসীদের দাবি, দিনে ৩ বার করে এই ফল খাওয়ার পাশাপাশি করোনা বিধিগুলিও কড়া ভাবে অনুসরণ করেন তাঁরা। কেউই গ্রামের বাইরে বার হন না। বাইরে থেকে গ্রামে কাউকে ঢুকতেও দেন না। সন্ধ্যা ৬টার পর বাড়ি থেকেও বার হন না, আর প্রয়োজনে বাইরে বার হলে হলুদ গোলা গরম জলে স্নান করে নিজেদের জীবাণুমুক্ত করে তবেই বাড়িতে প্রবেশ করেন। আর মুখে অবশ্যই বড় কাপড় জড়াতে ভোলেন না কেউ।
যদিও গ্রামবাসীদের করোনা না ছুঁতে পারার এই দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি প্রশাসন। একটি সংক্রমণ ধরা পড়েনি সারা দেশে এমন কোনও গ্রাম নেই বলেই জানানো হয়েছে সরকারি রিপোর্টে। তবে এই ৩টি গ্রাম তুলনায় করোনার প্রভাবমুক্ত বলে জানানো হয়েছে। করোনা সে ভাবে এই গ্রামগুলিতে থাবা না বসানোর অন্যতম কারণ হল বাসিন্দাদের জীবনপ্রণালী। গ্রামেই চাষ হওয়া পুষ্টিকর সব্জি, ফল খেয়ে জীবন কাটান তাঁরা। যার জন্য তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy