জমায়েত রুখতে কড়া পদক্ষেপ উদ্ধব ঠাকরের। ছবি: পিটিআই
লক ডাউন জারি হয়েছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে। এ বার গোটা রাজ্য জুড়ে জারি করা হল কার্ফু। সোমবার এই ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর কথায়, সংক্রমণ ঠেকাতেই কার্ফু জারি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের সংখ্যা এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি। তিন বিদেশি নাগরিককে ধরলে আক্রান্তের সংখ্যাটা পৌঁছেছে ৭৪-এ। করোনায় ওই রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছে দু’জনের।
করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেদের নিরাপদে রাখার জন্য ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু তার পরোয়া না করেই, এ দিন রাজ্যের বহু জায়গাতেই জমায়েত করেন মানুষ। আর তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা যে বাড়ে তা বলছেন বিশেষজ্ঞরাই। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতেই রাজ্য জুড়ে কার্ফু জারি করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সাধারণ মানুষের উচিত করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা। কার্ফু জারি করা হয়েছে যাতে জরুরি পরিষেবা চালু রাখা যায়। আর অন্যান্য পরিষেবা ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। রাস্তায় জমায়েত করে জন সাধারণের আইন লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’’
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ অন্তর্দেশীয় উড়ান, ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
লক ডাউনে কাজ হয়নি। তাই এ দিনই কড়া পদক্ষেপ করে পঞ্জাব সরকার। রাজ্য জুড়ে প্রথম কার্ফু জারি করে পঞ্জাব। এ দিনই এই ঘোষণা করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে ফভারতে করোনা সংক্রমণ স্থানীয় পর্যায অর্থাৎ স্টেজ ২-তে রয়েছে। সংক্রমণ যাতে পরবর্তী পর্যায়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ অর্থাৎ স্টেজ ৩-তে না চলে যায় তা রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মহারাষ্ট্র সরকার সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: কোনও উড়ান নামতে দেবেন না বাংলায়: প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy