বেঙ্গালুরুতে ঘরে ফেরার অপেক্ষায় পরিবার সমেত পরিযায়ী শ্রমিকরা। ছবি: পিটিআই।
লকডাউনের জেরে ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, পুণ্যার্থী, পর্যটক এবং পড়ুয়াদের নিরাপদে ঘরে ফেরানোয় আগেই সিলমোহর পড়েছিল। এ বার তাঁদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সর্বত্র এই নিয়ম কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের বাড়ি ফেরাতে, সম্প্রতি বাসের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠকের সময় তাতে বেঁকে বসেন পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবরা। বাসের পাশাপাশি ওই সমস্ত মানুষদের জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর দাবি তোলেন তাঁরা।
সেই দাবি মেনেই শুক্রবার নয়া নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে বলা হয়, ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের ফেরাতে রেল মন্ত্রককে বিশেষ ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হল। এ ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে রেলকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা।
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীর মৃত্যু সাগর দত্ত হাসপাতালে, ভাঙচুর, তাণ্ডব
হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে ট্রেনে তোলার আগে কী কী বিধিনিয়ম মেনে চলতে হবে, কী ভাবে টিকিট বিক্রি করা হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কী কী নিয়ম মানতে হবে, রেলস্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের মধ্যেই বা কী কী সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে, আলাদা করে সে ব্যাপারেও নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রায় ১০০০ পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে এ দিন ভোরেই তেলাঙ্গনার লিঙ্গমপল্লি থেকে ঝাড়খণ্ডের হাতিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় একটি বিশেষ ট্রেন। ২৪ কামরার ওই ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। এমনিতে প্রতি কামরায় ৭২ জন করে যাত্রী তোলা হলেও, এ দিন ৫৪ জন করে যাত্রী তোলা হয়। ট্রেনে তোলার আগে পরীক্ষা করে দেখা হয় প্রত্যেক যাত্রীকে। গোটা ট্রেনকেও জীবাণুমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কেন্দ্র বলল, বাংলায় ১০টি রেড জোন, প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য বলল ৪
একই ভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ কেরলের এরনাকুলাম থেকে ওড়িশার ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা আরও একটি ট্রেনের। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল। তবে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবদের পাশাপাশি বিজেপির অন্দরেও ট্রেন চালু করার দাবি ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল এবং দলের সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকে দলের সাংসদ এবং বিধায়কদের কণ্ঠেও সেই সুর ধরা পড়েছিল। তাই বিচার-বিবেচনা করেই কেন্দ্রীয় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দিল্লি সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy