—ফাইল চিত্র।
তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিজেপি তাঁকে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনবে। তার পরে তিনি নরেন্দ্র মোদী সরকারের মন্ত্রী হবেন।
এই শর্তেই নাকি রাহুল গাঁধীর সঙ্গ ত্যাগ করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কিন্তু করোনাভাইরাস ও তার জেরে লকডাউনে গ্বালিয়রের মহারাজার ভবিষ্যৎও আপাতত তালাবন্দি হয়ে রয়েছে। কবে লকডাউন উঠবে, কবে রাজ্যসভার নির্বাচন পর্ব মিটবে, কবেই বা তিনি মন্ত্রী হবে, তা নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা। সিন্ধিয়া আপাতত তাই নিজের অনুগামীদের মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী পদ পাইয়ে দিতে ব্যস্ত। এরই ফাঁকে নিয়ম করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নানা কাজের প্রশংসা করছেন। নিন্দুকদের দাবি, আসলে নিশ্চিত করে রাখছেন নরেন্দ্র মোদী যেন তাঁকে ভুলে না যান।
কমল নাথ সরকারের গদি ওল্টানোর পরে ২৩ মার্চ শিবরাজ সিংহ চহ্বাণ ফের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরে তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁর মন্ত্রিসভা গঠন হয়নি। কংগ্রেস আজ প্রশ্ন তুলেছে, মধ্যপ্রদেশে করোনা-পজ়িটিভের সংখ্যা ১৩০০-র বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা সত্তর ছুঁইছুঁই। কিন্তু রাজ্যে এখনও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেই কেন!
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত সিলমোহর, সোমবার থেকে দেশে কী কী কাজ শুরু হচ্ছে দেখে নিন
আরও পড়ুন: নজরে চিন, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র
বিজেপি শিবিরের খবর, আসলে কাকে ছেড়ে কাকে মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়েই জট কাটছে না। জট কাটলে রবিবারই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে বলে আশা করছে বিজেপি শিবির। সিন্ধিয়ার দল ছাড়ার সময় কংগ্রেসের ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছিলেন। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়ে উপনির্বাচনে লড়বেন। সিন্ধিয়া চান, তাঁর অনুগামীদের অন্তত ১০ জনকে মন্ত্রী করা হোক। এ দিকে শিবরাজের অনুগামীরাও রয়েছেন। সিন্ধিয়া বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অমিত শাহ, শুক্রবার জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy