Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in India

২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৩ হাজার ৫৮৬, দু’লক্ষ ছাড়াল সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও

এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট কোভিডে আক্রান্ত হলেন তিন লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩২ জন।

দেশে মোট মৃত্যু হল ১২ হাজার ৫৭৩ জনের। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

দেশে মোট মৃত্যু হল ১২ হাজার ৫৭৩ জনের। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ১০:০৯
Share: Save:

লাফ দিয়ে বেড়েই চলেছে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা প্রতি দিন বাড়ছে। শুক্রবারও তার অন্যথা হল না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৫৮৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এক দিনে এত মানুষ এর আগে সংক্রমিত হননি। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট কোভিডে আক্রান্ত হলেন তিন লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩২ জন।

আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৬ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ১২ হাজার ৫৭৩ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৫১ জনের। ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে রাজধানী দিল্লিতে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৯৬৯-এ। তৃতীয় স্থানে থাকা গুজরাতে মারা গিয়েছেন এক হাজার ৫৯১ জন। এর পর তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু (৬২৫), পশ্চিমবঙ্গ (৫১৮), মধ্যপ্রদেশ (৪৮৬), উত্তরপ্রদেশ (৪৬৫), রাজস্থান (৩২৩), তেলঙ্গানা (১৯৫) ও হরিয়ানা (১৩৪) ও কর্নাটক (১১৪)।

দেশে আক্রান্তের শীর্ষে সেই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৭৫২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন এক লক্ষ ২০ হাজার ৫০৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৩৩৪ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৭৯ জন। চতুর্থ স্থানে থাকা গুজরাতে মোট করোনা আক্রান্ত ২৫ হাজার ৬০১ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশ ১০ হাজারের গণ্ডি পার করে এগিয়ে চলেছে। উত্তরপ্রদেশ (১৫,১৮১), রাজস্থান (১৩,৮৫৭), পশ্চিমবঙ্গ (১২,৭৩৫) ও মধ্যপ্রদেশে (১১,৪২৬) জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পর ক্রমান্বয়ে রয়েছে হরিয়ানা (৯,২১৮), কর্নাটক (৭,৯৪৪), অন্ধ্রপ্রদেশ (৭,৫১৮), বিহার (৭,০২৫), তেলঙ্গানা (৬,০২৭) ও জম্মু ও কাশ্মীর (৫,৫৫৫)। সংক্রমিতের সংখ্যা পাঁচ হাজারের নীচে রয়েছে অসম (৪,৭৭৭), ওড়িশা (৪,৫১২) পঞ্জাব (৩,৬১৫), কেরল (২,৭৯৪), উত্তরাখণ্ড (২,১০২), ছত্তীসগঢ় (১,৯৪৬), ঝাড়খণ্ড (১,৯২০) ও ত্রিপুরা (১,১৫৫)-র মতো রাজ্যগুলির।

পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু ৫০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছিল বৃহস্পতিবারই। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে করোনার কবলে পড়ে মোট ৫১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এ রাজ্যে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩৫ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ১২ হাজার ৭৩৫ জন। কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা ছাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও রোজদিন সংক্রমণ বৃদ্ধি তৈরি করছে নতুন উদ্বেগ।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি, আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটাও উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে। দেশে অ্যক্টিভ রোগীর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা এখন বেশি। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা শুক্রবার দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। এখনও অবধি দেশে দু’লক্ষ চার হাজার ৭১১ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৩৮৬ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE