চার বছরের সন্তানকে নিয়ে গাঁজা কিনতে গিয়েছিলেন দম্পতি! ধরা পড়ে যান পুলিশের হাতে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। গত শনিবার হায়দরাবাদের গাচিবওলি এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায় হায়দরাবাদ পুলিশ। ওই অভিযানেই ধরা পড়েন দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, নিয়মিত খদ্দেরদের কাছে অনলাইনে গোপন সাংকেতিক বার্তা পাঠাতেন গাঁজাবিক্রেতা।
হায়দরাবাদের ওই অভিযানে মোট ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই দম্পতি। বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী এবং চার বছরের সন্তানকে নিয়ে গাঁজ়া কিনতে গিয়েছিলেন। গ্রেফতারির পর শারীরিক পরীক্ষায় গাঁজা সেবনের প্রমাণ মিলেছে। ফলে তাঁকে সস্ত্রীক আটক করা হয় এবং সন্তানকে পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই স্বামী-স্ত্রী ছাড়া আরও এক দম্পতিকে আটক করা হয়েছে অভিযানে। তাঁরাও গাঁজা কিনতে গিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ১৪ জনের মধ্যে রয়েছেন এক পড়ুয়া এবং বেশ কয়েক জন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। গত শনিবার হায়দরাবাদ পুলিশের মাদকবিরোধী শাখার সুপার রূপেশ চন্দ্রের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, মহারাষ্ট্রের এক বাসিন্দা ওই এলাকায় লুকিয়ে মাদক বিক্রি করছিলেন। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরাই তাঁর খদ্দের, এমন তথ্যও ছিল পুলিশের কাছে। তাঁর কাছে ৫০ গ্রামের ১০০ প্যাকেট গাঁজা ছিল এবং প্রতিটি প্যাকেট তিনি তিন হাজার টাকায় বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সুপার রূপেশ জানান, যাঁরা ওই ব্যক্তির নিয়মিত খদ্দের, এমন প্রায় শতাধিক নামের তালিকা ছিল বিক্রেতার কাছে। তাঁদের সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ রাখতেন অভিযুক্ত। বেশ কিছু গোপন সাংকেতিক কথাবার্তাও চলত তাঁদের মধ্যে। যেমন নতুন গাঁজার প্যাকেট এলে ক্রেতাদের লিখে পাঠানো হত, “ভাই, বাচ্চা এসে গিয়েছে ভাই।” গোপন সূত্রে এই সব তথ্য পাওয়ার পরে সাদা পোশাকে ওই এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। তাতে ১৪ জন ক্রেতাকে আটক করা হলেও অভিযুক্ত বিক্রেতা পালিয়ে যান। তাঁকে পাকড়াও করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।